ফলিশন ট্যাবলেট কেন খায়

ফলিশন ট্যাবলেট কেন খায়। ফলিশন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

ফলিশন ট্যাবলেট কেন খায়: মানবদেহ সুস্থতার জন্য যে সমস্ত ওষুধ পত্র গ্রহণ করা হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ফলিশন ট্যাবলেট। যার ফলিক এসিডের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। এটি মানবদেহে অন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ গুলোর মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলিশন ট্যাবলেট প্রতিটি বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু আমরা সকলেই জানি ফলিসন ট্যাবলেট গর্ভবতী মায়েদের খাওয়ার গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু শুধুমাত্র গর্ভবতীর মহিলাদের ক্ষেত্রে নয় বরং প্রতিটি মানুষের ফলিক এসিড প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমাদের সকলের শরীর সুস্থতার জন্য এই ফলিক এসিডের অভাব পূরণ করা জরুরী। এজন্য আজকে আমরা ফলিশন ট্যাবলেট কেন খায় ও ফলিশন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের মাঝে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনারা পজিশন ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।

প্রতিনিয়ত প্রতিটি মানুষ হয়ে সুস্থতার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে থাকে। প্রতিটি মানুষ নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে চাই কিন্তু নিজের শরীরের প্রতি যত্ন কিংবা কোনরকম সময় দিতে চায় না। কিন্তু শরীর সুস্থতার জন্য প্রতিনিয়ত সঠিক সময়ে শরীরে খাদ্য গ্রহণ এবং শরীরের যত্ন নেওয়া প্রতিটি মানুষের উচিত। কেননা স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল অর্থাৎ স্বাস্থ্যের মাধ্যমে মানুষ তার জীবনের সকল সুখ অর্জন করতে সক্ষম হয়। তাইতো আমাদের সকলের উচিত শরীরে সঠিক সময় খাদ্য গ্রহণ শারীরিক ব্যায়াম কিংবা শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া। শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাবার কিংবা সুষম খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে শরীর সুস্থ থাকবে তা নয়। বরং শরীর সুস্থতার জন্য পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খনিজ লবণ ক্যালসিয়াম কিংবা ফলিক এসিডের পরিমাণ সমান থাকতে হবে। যার মাধ্যমে আমাদের শরীরের সকল চাহিদা পূরণ হয়ে শরীর সুস্থ থাকবে এবং আমরা নিজেকে সুখী একজন মানুষ হিসেবে কল্পনা করতে পারব। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রতিনিয়ত সঠিক সময় খাদ্য গ্রহণ করা এবং শরীরের যত্ন নেওয়াও শরীর সুস্থতার সকল পরামর্শ গ্রহণ করা।

আরও পড়ুন: বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি। টোফেন সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ফলিশন ট্যাবলেট কেন খায়

ফলিশন এক ধরনের ট্যাবলেট যা ফলিক এসিডের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। শরীর সাধারণত ফলিক এসিডের চাহিদা পূরণ করার জন্য এই ফলিশন ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এই ওষুধটি প্রতিটি মানুষের জন্য প্রযোজ্য। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনে ফলিশন ট্যাবলেট খাওয়ার দরকার রয়েছে। তাই আমরা আজকে ফলিশন ট্যাবলেট সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা ফলিশন ট্যাবলেট কেন খাওয়া হয় সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। আজকের এই ফলিশন ট্যাবলেট খাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানার পর আপনি শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করার জন্য ফলিশন ট্যাবলেট সঠিক সময়ে খেতে পারবেন। নিচে ফলিশন ট্যাবলেট কেন খায় তুলে ধরা হলো:

ফলিসন ট্যাবলেট প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মূলত আমরা সকলে জানি শুধুমাত্র গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় তবে এটা ভুল কথা ফলিক এসিড ৫ মিলিগ্রাম সকল মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ফলিক এসিড ৫ মিলিগ্রাম প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে চার মাসের জন্য প্রতিদিন ৫ মিলিগ্রাম করে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও যারা মেইনটেনেন্স এর অবস্থায় আছে তাদের ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত রোগের উপর নির্ভর করে প্রতি এক থেকে ৭ দিনের মধ্যে ৫ মিলিগ্রাম দেওয়া যেতে পারে।

এছাড়া ফলিক অ্যাসিড শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানতাম না। যাদের বয়স এক বছর পর্যন্ত বা এক বছরের কম তাদের দৈনিক ৫ মাইক্রগ্রাম প্রতি কেজিতে ফলিক এসিড ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও এক বছরের বেশি যে শিশুগুলো আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রায় তো বয়স্কদের ডোজের সমপরিমাণ ডোজ দিতে হবে ওজনের উপর নির্ভর করে। সাধারণত ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আপনি কোনভাবে এই ঔষধ অতিরিক্ত সেবন করতে পারেন না তাই সবসময় ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।

ফলিশন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

অনেকে ফলিশন ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে তথ্যগুলো জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাদের জন্য আজকে ফলিশন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম গুলো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আপনাদের জন্য আজকে আমরা সকল বয়সের মানুষের পরিচয় ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম তুলে ধরেছি। এই প্রতিবেদন থেকে আপনারা গর্ভবতী মহিলাদের ফলিশন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। যা শুধুমাত্র আপনার ক্ষেত্রে নয় বরং প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে ফলিশন ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। নিচে ফলিশন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হলো:

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন ৪ ০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড ট্যাবলেট সেবন করা। খাবার খাওয়ার এক বা দুই ঘন্টা আগে এই ট্যাবলেট সেবন করলে ভালো। কারণ এটি খালি পেটেই ভালো কাজ করে।

উক্ত নিয়ম কি গর্ব অবস্থায় থেকে সন্তান জন্মের তিন মাস পর পর্যন্ত অব্যাহত রাখা উচিত। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত দৈনিক 1000 মাইক্রো গ্রামের বেশি ফলিক এসিড গ্রহণ করা উচিত নয়। নিয়মিত ফলিক এসিড ট্যাবলেট গ্রহণের পাশাপাশি অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।

এছাড়া অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষ প্রতিদিন একটি করে ফলিক এসিড ট্যাবলেট সকালে বাড়াতে সেবন করতে পারেন। তবে অবশ্যই তো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত বলে আমি মনে করি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *