জিংক সিরাপ এর উপকারিতা

জিংক সিরাপ এর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

জিংক সিরাপ এর উপকারিতা: মানবদেহে জিংকের ঘাটতি ও জিংক ক্ষয় রোধের জন্য জিংক সিরাপ খাওয়া হয়। প্রতিনিয়ত মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা জনিত কারণে বিভিন্ন ওষুধপত্র পুষ্টিকর খাবার সুষম খাদ্য ও ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। সুষম খাদ্য কিংবা পুষ্টিকর খাবার যেমন শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার সাধন করে থাকে তেমনি শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিষেধক হিসেবে এবং শরীরের বিভিন্ন জটিলতায় ওষুধ পত্র সেবন করা হয়। মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পূরণে যেসব ওষুধপত্র খাওয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে জিংক সিরাপ। যেটি সাধারণত জিংকের ঘাটতি পূরণ এবং জিংক ক্ষয়রোধে খাওয়া হয়। তাইতো মানব দেহ সুস্থতার প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা উচিত। তাই আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে মানবদেহের উপকারী একটি সিরাপ জিংক সিরাপের উপকারিতা ও খাবার নিয়ম সম্পর্কে তথ্যগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।

জিংক হচ্ছে মানব দেহের উপকারী একটি সিরাপ যেটি আমাদের দেহের জিংকের চাহিদা পূরণ এবং জিংক ক্ষয়রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জিংক এটি ট্যাবলেট আকারে বাজারে পাওয়া যায় আবার সিরাপ আকারে বিক্রি করা হয়। আমরা সাধারণত মানব দেহে সুস্থতার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকি। এসব খাবার আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু এই পুষ্টিকর খাবার কিংবা সুষম খাবার গুলো মাধ্যমে আমাদের শরীর সুস্থতা কিংবা শরীরের ঘাটতি পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য আমাদের ওষুধ পত্র সেবা করতে হয়। আমরা আমাদের শরীরের জিংকের অভাব পূরণ করার জন্য সাধারণত জিংক ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ খেয়ে থাকে। এটি আমাদের শরীরের জিংক ক্ষয় রোদে এবং জিংকের অভাব পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কার্যসম্পাদনের জিংক সিরাপের অবদান রয়েছে।

আরও পড়ুন: ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার তালিকা। ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ

জিংক সিরাপের উপকারিতা

মানবদেহে জিংকের ব্যাপক উপকারিতা রয়েছে। তবে সাধারণত জিংক আমাদের শরীরের জিংকের চাহিদা পূরণ করে থাকে এবং মানবদেহের জিংকের ক্ষয়রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিংকের চাহিদা পূরণ করার জন্য জিংক ট্যাবলেট হিসেবে খাওয়া হয় আবার সিরাপ হিসেবেও সেবন করা হয়। তাই আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে জিংক সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে তথ্যগুলো আপনাদের উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছি। আপনাদের জন্য আমাদের এই পোস্টটিতে আজকের জিংকের উপকারিতা সম্পর্কিত সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। নিচে জিংকের উপকারিতা সম্পর্কিত সকল তথ্য তুলে ধরা হলো:

আমাদের শরীরে যদি জিংকের ঘাটতি হয় তাহলে ক্ষুধামন্দা,তীব্র বৃদ্ধির হ্রাস, বিকৃত হাড় তৈরি, শ্বাসনালির সংক্রমণ, রক্তস্বল্পতা এবং রাতকানার মত সমস্যাগুলো হতে পারে। তাছাড়া শরীরে জিংকের ঘাটতি থাকলে অনেকেই মানসিক অশান্তিতে ভুগতে থাকেন বা অবসাদে ভোগে থাকেন। তাই সাধারণত এই রোগগুলো চিকিৎসায় জিংক সিরাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জিংক সিরাপ ব্যবহার করলে এই রোগগুলো থেকে খুব দ্রুতই মুক্তি পাওয়া যায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

জিংক সিরাপ কেন খায় /জিংক সিরাপ এর উপকারিতা

(১). ত্বকের যত্নে: বিভিন্ন রকম ব্রণে জিংকের ভূমিকা রয়েছে। যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিক দাগের চেয়ে জিংকের উপকারিতা বেশি। বয়সন্ধিকালে ছেলে  ব্রণ দেখা যায় জিংক দেহে টেস্হটোস্টেরন হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
তাই যাদের বয়সসন্ধিকাল  চলছে তাদের জিংক খাওয়া শুরু করতে হবে। তাহলে মুখে ব্রণ বের হবে না।
(২). প্রোস্টেট ডিসঅর্ডার: প্রোস্টেট বা প্রসাবের সমস্যায় জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ। জিংকের অভাবে অনেক সময় পোস্টেড গ্রান্ড বড় হয় এবং ক্যানসার আক্রান্ত হয়। যারা প্রসাবের সমস্যায় ভুগছেন বা প্রোস্টেট সমস্যায় ভুগছেন তাদের প্রতিদিন ১৫ গ্রাম জিংক খেতে হবে। জিংকের উপকারিতা, তাই অপরিসীম।
(৩). গর্ভাবস্থায়: ডি এন এর গঠন এবং এর কাজ সঠিকভাবে করার জন্য জিংকের উপকারিতা অপরিহার্য। গর্ভকালীন সময়ে কোষগুলো দ্রুত বৃদ্ধি এবং প্রধান উপাদান গুলোর গঠন নিশ্চিত করে জিংক।
 তাই যারা গর্ভাবতী তারা গর্ভাবস্থার প্রথম থেকেই জিংক খাওয়া শুরু করা ভালো।
(৪). প্রজনন: জিংকের উপকারিতার উপকরণ রয়েছে জিংকে।পুরুষের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গের উন্নতি ও শুক্রাণুর  উৎপাদনে জিংক সাহায্য করে।  শুক্রাণুর মধ্যে জিংক রয়েছে।
শুক্রাণুকে ডিম্বানু পর্যন্ত নিয়ে যেতে সাহায্য করে জিংক।
তাই যারা নতুন বিবাহ করবেন তারা জিংক  ছেলেমেয়ে উভয় জিংক খাওয়া শুরু করতে হবে । তাই বলাই যাই জিংক হচ্ছে শুক্রাণুর প্রাণ।
(৫). চুলের যত্নে: চুল পড়ে যাওয়া ছোট এবং বড়দের সবার একটি কমন সমস্যা তাই সঠিক পরিমাণ জিংক গ্রহণে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে। তাই চুলের যত্নে বা চুল পড়া সমস্যায় জিংকের উপকারিতা অনেক বেশি।
(৬). চোখে সুস্থতায়: জিংকের উপকারিতার মধ্যে চোখের সুস্থতা অন্যতম। মানব দেহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিছু রয়েছে চোখে জিংকের পরিবার বেশি থাকে। এক গবেষণা দেখা গেছে, জিংক বার্ধক্য জনিত এ এম ডি দৃষ্টিশক্তির সমস্যা প্রতিরোধ করে।
তাই যারা বার্ধক্য জড়িত চোখের সমস্যায় ভুগছেন বা বেশি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ব্যবহার করেন। তাদের জিংক ব্যবহার একটু বেশি করতে হবে।
(৭). অস্টিওপরসিস: জিংক হাড় গঠনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিংক হাড়ের ক্ষয় হওয়া রোধ করে।
তা যাদের বাত ব্যথা বা অস্টিওপরসিস এ এ ভুগছেন তারা জিংক গ্রহণ সঠিক মাত্রায় করবেন। এতে বাত ব্যথা দূর হবে।

জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

এখন আমরা আপনাদের সকলের মাঝে জিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব কেননা সঠিক নিয়মে জিংক সিরাপ সেবন না করলে এটি মানবদেহের ক্ষতিকর অবস্থা তৈরি করবে। তাই প্রতিটি ওষুধ সেবনের পূর্বে এর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে তথ্যগুলো জানা আবশ্যক অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিটি সিরাপ সেবন করতে হবে। তাই আজকে আপনাদের বহুল পরিচিত জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম আমরা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। আজকের এই তথ্যগুলোর আলোকে আপনারা জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সঠিক নিয়মে খেতে পারবেন। নিচে জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম তুলে ধরা হলো:

১০ কেজি ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে ৫ মিলি করে দৈনিক দুই চামচ জিংক সিরাপ খাওয়ানো হয়।১০ কেজি থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে ১০ মিলি করে দৈনিক দুই থেকে তিনবার এই সিরাপ খাওয়ানো হয়। ৩০ কেজি ওজনের ঊর্ধ্বে শিশুদের ক্ষেত্রে দৈনিক ২০ মিলি করে চার চামচ করে তিনবার খাওয়ানো হয়।আহারের এক ঘন্টা পূর্বে অথবা দুই ঘন্টা পূর্বে এই ঔষধটি খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *