মুখে বয়সের ছাপ দূর করার উপায়

মুখে বয়সের ছাপ দূর করার উপায়

মুখে বয়সের ছাপ দূর করার উপায়: স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে সকলের সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে সকলের সচেতন হলেও আমাদের দেশে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিষয়গুলোর প্রচলন খুবই কম। তাইতো স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে সকলের মাঝে তথ্য পৌঁছে দিতে আমরা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আলোচনা গুলো প্রকাশ করছি। সম্মানীয় পাঠক বন্ধুগণ আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা জানাবো কিভাবে আপনি আপনার মুখ থেকে বয়সের ছাপ দূর করবেন। আপনার চেহারার মধ্যে বয়সের চেয়ে ইঙ্গিত রয়েছে তা সত্যিই দূর করা সম্ভব। আমাদের আশেপাশে এ বিষয়টি লক্ষ্য করলে আমরা বুঝতে পারবো অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা বয়সে অনেক বেশি হওয়ার শর্তেও চেহারার মধ্যে তা প্রকাশ পায় না। আবার অনেক ব্যক্তি রয়েছেন বয়স কম কিন্তু চেহারার মধ্যে বয়সের ছাপ লক্ষণীয়। বেশ কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কম বয়সে চেহারার মধ্যে বয়সের ছাপ আসতে পারে অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে পাশাপাশি এই বিষয় থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন এই প্রতিবেদনে।

আমরা সকলেই চেয়ে থাকি নিজেকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে অন্যের মাঝে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি আরো বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে তাই ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে প্রকাশ করে। আমরা চেষ্টা করব পরীক্ষিত কিছু উপায় সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে আপনাদের জানাতে যার মাধ্যমে আপনি আপনার চেহারা থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে পারবেন। খুব কম বয়সে অনেকের চেহারার মধ্যে বয়স লক্ষণীয় হয়ে থাকে এটি মূলত পরিবেশ এবং জীবন যাপনের মানের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে এছাড়াও আমাদের কিছু খারাপ অভ্যাসের কারণে এমনটা হতে পারে আমরা আপনাদেরকে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে জানাবো।

মুখে বয়সের ছাপ আসার কারণ

প্রতিকারের বিষয় সম্পর্কে জানার পূর্বে কারণগুলো নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো আমরা প্রথমেই আপনাদের মাঝে তুলে ধরব কি কি কারণে মুখে বয়সের ছাপ আসতে পারে। এই সমস্ত কারণ সম্পর্কে জানলে আমরা খুব সহজেই চেহারা থেকে বয়সে চাপ দূরে সরিয়ে রাখতে সক্ষম হব তাই কিছু স্ক্রিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতামতের উপর ভিত্তি করে কারণগুলো উল্লেখ করছে নিচে।

ত্বকে কেন অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ে?

১. বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার অর্থ, রিঙ্কেল দেখা দেওয়া, ত্বকের টান-টান ভাব নষ্ট হয়ে যাওয়া, ত্বক নিষ্প্রাণ দেখানো কিংবা বয়স অনুযায়ী ত্বকের জেল্লা নষ্ট হয়ে যাওয়া এসবই। ত্বকে এই সমস্ত সমস্যা দেখা দেওয়ার মূল কারণই হল ত্বকে সরাসরি প্রচুর পরিমাণে সূর্যের তাপ লাগা। অত্যধিক মাত্রায় সূত্রের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে লাগলে, তার কারণে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২. অত্যধিক ধূমপানের কারণেও ত্বকে অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। ত্বক সুন্দর, জেল্লাদার ও সুস্থ রাখতে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

৩. ত্বক সুস্থ আর সুন্দর রাখতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।

৪. ধুলো এবং ধোঁয়াতেও মারাত্মক ক্ষতি হয় ত্বকের। এক্ষেত্রে বাইরে বেরনোর সময় ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে ভুললে চলবে না। পাশাপাশি নিয়মিত ত্বক পরিষ্কা রাখতে হবে। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিংয়ের সঙ্গে স্ক্রাবিং করতে হবে।

আরও পড়ুন: অসুস্থ বন্ধুর জন্য দোয়া চেয়ে স্ট্যাটাস

৫. ধূমপানের মতোই মারাত্মক ক্ষতিকর হল মদ্যপান। ত্বক সুস্থ রাখতেও এটির অভ্যাসও ত্যাগ করতে হবে।

৬. অত্যধিক স্ট্রেসের কারণে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে ত্বকে। স্ট্রেস দূর করার জন্য কাউন্সিলরের পরামর্শ নিতে পারেন। অথবা, বিশ্বাস করেন এমন কারও সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

৭. অপর্যাপ্ত ঘুমও ত্বকের ক্ষতির মূল কারণ। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।

৮. পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া এবং নিয়মিত শরীরচর্চাতে সুস্থ থাকে ত্বক।

ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

মুখে বয়সের ছাপ দূর করার উপায়

সাধারণত এই সমস্যাগুলো দীর্ঘসময় পর লক্ষণীয় হতে পারে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে। মুখে বয়সে সাবাস আর অন্যতম কিছু কারণ রয়েছে এর মধ্যে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যেমন বিভিন্ন কসমেটিক পণ্য স্ক্রিনে ব্যবহারের ফলে এমন সমস্যা হতে পারে। তাই স্ক্রিনে ব্যবহারের জন্য সুরক্ষিত পণ্য ব্যবহার করবেন। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে আমরা ডিভাইসের উপর আসক্ত মোবাইল ফোন ল্যাপটপ কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে ক্ষতিকারক রশ্মি আমাদের চেহারার মধ্যে ক্ষতি সাধন করতে পারে এর ফলে চেহারার উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। এছাড়াও উপরোক্ত আলোচনা থেকে কারণসমূহ জানতে পেরেছেন এখানে জানতে পারবেন মুখ থেকে বয়সের চাপ দূর করার উপায় গুলো আশা করছি আমাদের আলোচনায় উল্লেখিত উপায় গুলো কার্যকারী আপনারা সকলেই এই উপায় অনুসরণ করে আপনার সমস্যার সমাধান নিতে পারেন।

ওটমিল, দই ও মধুর মাস্ক

3

ছবি: সংগৃহীত

ওটমিল একটি চমৎকার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা ত্বকের অস্বস্তিকর ভাব এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমাতে সাবানের মতোও কাজ করে থাকে।

মধু ও দইয়ের সঙ্গে মিক্স হয়ে এটি ডেড সেল পরিষ্কার করে এবং চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখে। এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনাকে কেবল ১ টেবিল চামচ ওটমিল, দই এবং মধু মেশাতে হবে। মিশ্রণটি ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে নিন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শসা, মধু, গ্রিন টি মাস্ক

4

ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত সেনসিটিভ ত্বকে দ্রুত বার্ধ্যকজনিত বলিরেখা দেখা যায়। সেনসিটিভ ত্বকের জন্য এই ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

মাস্কটির জন্য প্রয়োজন শসা, মধু ও গ্রিন টি।

শসা ত্বক সতেজ রাখতে বহুল পরিচিত, পাশাপাশি গ্রিন টি ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেয়। মাস্কটি বানানোর জন্য শুরুতে কিছু শসা পাতলা করে কেটে মধু এবং গ্রিন টির মিশ্রণে প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। স্লাইসগুলো ১৫ মিনিটের জন্য মুখে রেখে দিন তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কলার মাস্ক

5

ছবি: সংগৃহীত

কলা ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এই মাস্কটি বাসায় তৈরি করা সবচেয়ে সহজ মাস্কগুলোর মধ্যে একটি। এটি তৈরি করার জন্য শুরুতে একটি কলা নিয়ে তা মসৃণভাবে ভর্তা করতে হবে। আপনার ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয় তবে কিছু টক দই যোগ করতে পারেন। এটি আপনার মুখে ৩০ মিনিটের জন্য মেখে নিন। তারপর পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে ফেলুন। আপনার প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে সপ্তাহে কয়েকবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।

গ্রিন টি

6

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ছবি: সংগৃহীত

গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ, যা ত্বকের কোষগুলোতে থাকা ফ্রি রেডিক্যাল কমায়। গ্রিন টি ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি এবং চারপাশের দূষণ যা ত্বকের ক্ষতি করে সেসব থেকেও ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। এটি অকাল বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরের পক্কেও ভালো। তাই দিনে ২ কাপ গ্রিন টি পান করা ত্বক ও স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *