নফস নিয়ে উক্তি

নফস নিয়ে উক্তি, হাদীস, বাণী ও কবিতা

নফস নিয়ে উক্তি ও হাদীস: নফস আরবি শব্দ। পবিত্র কুরআন মাজিদে শব্দটি এসেছে তা আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে সত্তা মন অহংকার বা নিঃশ্বাস হিসাবে বিবেচিত হয়। আরবি শব্দটি হিব্রু নেফেস শব্দটির সমতুল্য একটি শব্দ। পবিত্র কুরআনে নফস শব্দটি স্বতন্ত্রবাদী ও সমষ্টিগত উভয় অর্থ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। যদিও নফস শব্দটি ইতিবাচক গুণাবলীর মাধ্যমে মানবতাকে কেন্দ্রীভূত করেছে। মানব দেহের এই গুণগুলো স্বাধীন ইচ্ছা চর্চার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকে সাধারণত যে ক্ষমতাটি প্রতিটি মানুষকে নফস প্রদান করে থাকে। তাই আমাদের সকলকে নফসের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এজন্য আমরা আজকে নফস নিয়ে উক্তি ও হাদিস গুলো আপনাদের মাঝে বর্ণনা করবো। আজকের এই নফস নিয়ে উক্তি ও হাদিস গুলোর আলোকে আপনারা প্রত্যেকেই নফস সম্পর্কে হাদিসের আলোকে জানতে পারবেন সেই সাথে মুসলিম মহামনিষীদের নফস নিয়ে উক্তিগুলো আপনাদের বাস্তব জীবনে অনুসরণ করতে পারবেন। আমাদের আজকের এই উক্তিগুলো মূলত আপনাদেরকে নফস সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে সেই সাথে নফস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করবে।

পৃথিবীতে মানুষের শরীরে যে দুটি আত্মা থাকে একটি হচ্ছে জীবাত্মা অন্যটি হচ্ছে পরমাত্মা। একজন মানুষের মাঝে মূলত জীবাত্মা হচ্ছে নফসের অপর নাম। মানবদেহের জীব আত্মাকে নফস এবং পরমাত্মাকে রুহ বলা হয়। প্রতিটি মানুষের দেহের নফস ও রুহর কার্য আলাদা হয়ে থাকে। ব্যক্তি জীবনে একজন মানুষের স্বভাব চরিত্রে ও আচার আচরণে যখন নফসের প্রভাব প্রতিপত্তি পেয়ে থাকে তখন মূলত রূহের আচরণ অপ্রকাশিত হয় এটি তখন প্রকাশ পায় না। অপরদিকে মানুষ যখন নফসের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তখন প্রতিটি মানুষের রুহর কার্যক্রম সকলের মাঝে প্রকাশিত হয়ে থাকে। পৃথিবীতে মূলত প্রতিটি মানুষ নফসের বেড়াজালে আটকে পরে যার কারণে সকল ধরনের পাপ ও অপরাধ সংগঠিত হয়। কেননা নফসের কবলে মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের জড়িয়ে পড়ে যার কারণে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে অপরাধী হয়ে যায়। যখন একজন মানুষের মাঝে নফস প্রভাবিত হয় তখন মূলত মানুষের ইবাদত বন্দেগিতে মন বসে না কোরআন হাদিসের কথা শুনতে অস্বস্তি লাগে। এছাড়াও মনের মাঝে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের পাপ ও অপরাধমূলক চিন্তা ভাবনা ঘুরপাক খেয়ে থাকে। একজন মানুষ চাইলেই মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ইবাদতের মাধ্যমে নফসের হেফাজত করতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই প্রতিটি মানুষের উচিত জীবাত্মা এর তুলনায় পরমাত্মাকে গুরুত্ব দেওয়া।

আরও পড়ুন: মসজিদে নববীর জমি ক্রয়ের মূল্য কে পরিশোধ করেন

নফস নিয়ে উক্তি

ব্যক্তি জীবনের মূলত জীব আত্মার নাম হচ্ছে নফস। যার কবলে পড়ে একজন মানুষের সুন্দর জীবন ধ্বংস হয়ে যায় অর্থাৎ মানুষের জীবনে পাপের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। নফস মূলত মানুষকে ইবাদত বন্দেগী করা থেকে বিরত রাখে এবং অপরাধী করে তোলে। তাইতো আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের প্রতিবেদনটিতে সকলের উদ্দেশ্যে নফস নিয়ে উক্তি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন। আজকের এই প্রতিবেদনটির আলোকে আপনারা নফস নিয়ে উক্তিগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা আপনাদের জন্য মুসলিম মহামনিষীদের নফস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উক্তিগুলো আপনাদের জন্য সংগ্রহ করেছি যেগুলো আপনাদের সকলকে নফসের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। নিচে নফস নিয়ে সকল উক্তি তুলে ধরা হলো:

আমাদের পেজে নফস নিয়ে উক্তি দেয়া হলো নিম্নে দেখুনঃ

দুঃখ করোনা, তুমি যা কিছু হারিয়েছো তার জন্য তুমি তা আবার ফিরে পাবে যা কিছু হারিয়েছো আরেক ভাবে আরেক রূপে।

আপনার সুন্নাহ আঁকড়ে ধরেছি সেই আশা পূরণের পানে

বড় ভালোবাসি আল্লাহ তোমায়! ভালোবাসি তোমার রসূল (সাঃ)!

এই ভালোবাসায় শুদ্ধতা দিও, গুনাহ মাফ করিও সকল!

যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাও, তবে দুর্বল এর প্রতি তোমার দয়ার হাত বাড়িয়ে দাও।

নফস নিয়ে হাদিস

নফস মূলত আরবি শব্দ। এটি মূলত একজন মানুষের জীব আত্মার অপর নাম। প্রতিটি মানুষের মাঝে দুটি সত্তা বিদ্যমান একটি হচ্ছে জীব সত্তা হচ্ছে মানব সত্তা। নফস মূলত মানুষের মাঝে সকল খুবই কুপ্রবৃত্তি তৈরি করে থাকে। প্রতিটি মানুষ পরিপূর্ণভাবে মহান আল্লাহতালার ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে ও রুহর কার্যক্রম বৃদ্ধি করার মাধ্যমে নফসের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। তাই আমরা সকলের উদ্দেশ্যে নফস নিয়ে পবিত্র হাদিস গুলো সংগ্রহ করে আপনাদের মাঝে বর্ণনা করেছি। আপনারা আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনের হাদিসগুলো জানতে পারবেন সেই সাথে নিয়ন্ত্রণ হাদিসের আলোকে পরিপূর্ণভাবে করতে পারবেন। আপনার পরিবার পরিজন ও সকলের মাঝে আজকের এই হাদিসগুলো শেয়ার করে তাদেরকে জানাতে পারবেন। নিচে নফস নিয়ে হাদিস সমূহ তুলে ধরা হলো:

নফস মূলত একটি, তবে এর অনেক সিফাত তথা গুণ রয়েছে। ফলে নফসের গুণের হিসেবে এক একটি নাম দেওয়া হয়েছে। একে মুতমাইন্না (مطمئنةবলা হয়েছে, যেহেতু সে তার রবের ইবাদত ও ভালোবাসায় মুতমাইন্ন তথা প্রশান্ত। আবার একে লাওয়ামাহ(لوامةবলা হয়েছে, কেননা সে ব্যক্তির বাড়াবাড়িতে তাকে ভর্ৎসনা করে। আবার একে আম্মারাহ(أمّارةবলা হয়েছে, যেহেতু সে অন্যায় কাজের আদেশ দেয়। বস্তুত অন্যায় কাজের নির্দেশ দেওয়াই হলো নফসের প্রকৃতি, তবে আল্লাহ যাকে তাওফিক দান করেন, যাকে হিদায়াতের ওপর স্থির রাখেন এবং সাহায্য করেন তার কথা আলাদা।

আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদের নফসগুলোকে নফসে মুতমাইন্না(مطمئنةকরে দেন এবং আমাদেরকে তাঁর ইবাদত ও ভালোবাসায় অন্তর্ভুক্ত করেন। আমীন।।

সালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সমস্ত সাহাবীগণের ওপর বর্ষিত হোক।

নফস নিয়ে বাণী

নিম্নে নফস নিয়ে বাণী দেখুনঃ

আমি প্রভুকে বললাম, আমি তোমাকে জানার আগে মরবো না! প্রভু উওর দিলেন যে
আমাকে জানে সে কখনো মরে না!”

যদি তুমি কাহারো হৃদয়কে জয় করিতে চাও,
তবে প্রথমে অন্তরে ভালোবাসার বীজ রোপণ করো!!!

মৃত্যু আমার বিবাহ, বিবাহের দিন কি কেউ কাদে?

আর জদি তুমি জান্নাত পেতে চাও তাহলে অন্যের পথে কাটা বিছানো ছেড়ে দাও।

ছিলাম আমি নিষ্প্রাণ হয়েছি আমি প্রাণবন্ত।

নফস নিয়ে স্ট্যাটাস

  • অনেকে নফস নিয়ে স্ট্যাটাস পড়তে ভালোভাসেন নিম্নে উক্তি গুলো দেখুনঃ
  • কামেল পীরের প্রতি সদয় হও, এবং নৈকট্য অর্জন করো।
  • কামেল পীর ব্যাতিত কেহ অন্তর কে সুস্থ করিতে পারে না।
  • আমি অনেক মানুষ দেখেছি যাদের শরীরে কোনো পোশাক নেই, আমি অনেক পোশাক দেখেছি যেগুলোর ভিতর মানুষ নেই।
  • সব কিছু জেনে ফেলাই জ্ঞান নয়, জ্ঞান হলো কী কী এড়িয়ে যেতে হবে বা বর্জন করতে হবে তা জানা।

নফস নিয়ে কবিতা

নফস নিয়ে কবিতা নিম্নে দেখুনঃ 

নফস 

কবিতা

মুঠোভর্তি স্বাধীনতার নামে আজ দু’হাতে পাপের বেড়ি

কবর ডাকছে হাতছানি দিয়ে, ফিরবার কত দেরী?

হন্যে হয়ে চলছি ছুটে, নিয়ম বুঝি না আমি মাতাল,

ছুটছি ভীষণ, বিক্ষিপ্ত মন খোঁজে শান্তি আকাশ-পাতাল।

শান্তি পড়ে রয় ঘরের তাকে, নামটি তার “আল কুরআন”

এ কিতাব মহাসত্য, হতে পারি না তার প্রতি সন্দিহান।

দিন-মাস-বছর পেরোয় আর আমি খুলে দেখি না আল্লাহর চিঠি

তাঁর দয়াতেই দৈনিক চোখ মেলি আর প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠি

আর ভাবছি বসে কেন শান্তি আমায় ছেড়ে নিয়েছে লম্বা ছুটি?

কীভাবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াই যখন মৃত্যু হবে আসন্ন?

যখনই ভাবি ভালো হয়ে যাব, দুষ্টু মন শুরু করে দেয় প্রশ্ন!

আচ্ছা, এমন কিই বা করেছি পাপ?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *