ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস

ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস, উক্তি ও বাণী

ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস: পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে কষ্ট। যাকে বাদ দিয়ে মানুষের জীবন কল্পনা করা সম্ভব নয়। কেননা মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী হলেও এই জীবনে বিভিন্ন অংশ জীবনকে ওতোপ্রতভাবে জড়িয়ে রেখেছে। জীবনের এই জড়িয়ে থাকা অংশগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে কষ্ট যা মূলত মানুষের জীবনকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিটি মানুষের জীবনে কষ্ট বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এটি কখনো কখনো শারীরিকভাবে মানুষের জীবনে প্রভাবিত হয় আবার অনেক সময় মানসিকভাবে কষ্ট মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে তোলে। তবে মানুষের জীবনে শারীরিক কষ্টের তুলনায় মানসিক কষ্ট বেশি প্রভাবিত হয়। তাই আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাসগুলো তুলে ধরব। যেগুলো আপনাদেরকে জীবনের কষ্টগুলো ইসলামিক ভাবে কমাতে সাহায্য করবে। তাই আশা করা যায় আমাদের আজকের ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস গুলো আপনাদেরকে ইসলামিক ভাবে জীবনের কষ্ট কমাতে সাহায্য করবে।

পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জীবনে কষ্ট রয়েছে, কষ্ট ছাড়া মানুষের জীবন কল্পনা করা সম্ভব নয়। কষ্ট মূলত প্রতিটি মানুষের জীবনের সুখের থাকার প্রধান মূল মন্ত্র। মানুষের জীবনে মূলত সুখ দুঃখ বিপদ আনন্দ হাসি সব কিছু পালাবদল করে আসে। কিন্তু জীবনে সুখের পরিধি অল্প হলেও কষ্টের পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত মানুষ মূলত বিভিন্নভাবে কষ্ট পেয়ে থাকে। কষ্ট মানুষের জীবনকে তিলে তিলে যন্ত্রণা কিংবা দহনের আগুনে পুড়তে থাকে। অনেক সময় মানুষের জীবনে এই কষ্ট অত্যন্ত তীব্র হয়ে উঠে যার কারণে মানুষ হতাশা কিংবা ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকে। এই কষ্ট মানুষকে খাঁটি মানুষের পরিণত করে তোলে। কেননা সোনা যেমন পড়তে পড়তে সোনাকে খাঁটি সোনায় পরিণত করে তোলে তেমনি একজন মানুষকে কষ্টের আগুন পড়তে পড়তে খাঁটি মানুষের পরিণত করে। মানুষের জীবনে যখন কষ্ট আসে তখন মানুষের স্বাভাবিক জীবনে অস্বাভাবিক হয়ে উঠে। এ সময়ে প্রতিটি মানুষের জীবনের প্রকৃত বন্ধু কিংবা আপনজনদের চেনা অত্যন্ত সহজ হয়ে উঠে। কেননা মানুষের জীবনের কষ্ট এলে মূলত বন্ধুদের সংখ্যা কমে যায়। অনেক সময় এই কষ্টের কারণে মানুষ জীবনে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে যা আমাদের উচিত নয়। কেননা জীবনে কষ্টের পর এক সময় সুখ আসতে বাধ্য তাই আমাদের অবশ্যই কষ্টের সময় থেকে ধৈর্য এবং পরিশ্রমের সাথে মোকাবেলা করতে হবে।

আরও পড়ুন: ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস এসএমএস উক্তি ও ক্যাপশন

ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস

ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস গুলোর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ তাদের বাস্তব জীবনের দুঃখ কষ্ট গুলো অতি সহজে কমিয়ে আনতে পারে এবং এই দুঃখ কষ্ট গুলো স্ট্যাটাস গুলোর মাধ্যমে শেয়ার করতে সক্ষম হয়। তাইতো একজন প্রকৃত মুসলিম মানুষ তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের ছোট ছোট দিক নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করে থাকে। এজন্য আজকে আমরা ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস গুলো আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদের আজকের এই ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস গুলোর মাধ্যমে আপনাদের বাস্তব জীবনের দুঃখ-কষ্ট গুলো অতি সহজে এই স্ট্যাটাসগুলোর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন। আপনার বন্ধু বান্ধব কিংবা পরিচয় তাদের মাঝে আজকের স্ট্যাটাস গুলো শেয়ার করে দিতে পারবেন। নিচে ইসলামিক কষ্টের স্ট্যাটাস গুলো তুলে ধরা হলো:

আগে যদি জানতাম আমি জীবনের সব চাওয়া পূরণ হবে না , তাহলে কোনদিন তোমাকে আমার জীবনে পাওয়ার আশা করতাম না

কোন কিছু পাওয়ার আনন্দ কিছুদিন থাকে কিন্তু কিছু না পাওয়ার বেদনা সারাটি জীবন  থাকে

তোমার চোখে অশ্রু আসুক তবুও তুমি কম ভালোবাসবে না

ভালোবাসা আছে বিধায় দুচোখে অশ্রু আসে ভালোবাসা না থাকলে দুচোখে কখনো অশ্রু আসতো না

তুমি আসবে বলে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম কিন্তু তুমি আসলে না তবুও এটা নিয়ে আমার দুঃখ রইল না

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি তাই আমি কাদতেও জানি

দুঃখকে জড়িয়ে রাখার জন্য যদি প্রাচীর দিয়ে রাখতে পারতাম , তাহলে সুখ এর মধ্যে আটকে যেত

এখন দুঃখ অনেকটা মূল্যবান সম্পদ ,কেবল প্রিয়জনদের কাছে প্রকাশ করলে

আল্লাহ তাআলা নিশ্চয়ই তোমাদের আকৃতি ও বিশাল এই ধন-সম্পদের দিকে তাকাবেন না বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে তাকাবেন (মুসলিম শরীফ ২৫৬৪)

হে মানুষ তোমরা মহান আল্লাহতায়ালার নিকট তওবা করো কারণ নিশ্চয়ই আমি দিনে আল্লাহর নিকট একশতবার করে তওবা করি (মুসলিম ২৭০২)

নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তা’আলা মানুষের মৃত্যুর গরগরা না আসা পর্যন্ত তার বান্দার দোয়া কবুল করেন (তিরমিজি ৩৫৩৭)

কোন ব্যক্তি মহান আল্লাহ এবং পরকাল দিবসের উপর ঈমান রাখে সে যেন ভালো কথা বলে নতুবা চুপ থাকে (বুখারী শরীফ ৫:৬১৩৮

একজন মুমিনের অবস্থা ভারী অদ্ভুত সকল কাজ তার জন্য কল্যাণকর একমাত্র মমিন ছাড়া অন্য কেউ নেই কল্যাণ লাভ করতে পারে না মুমিনরা সুখ শান্তি লাভ করলে ভালো করে শুকরিয়া আদায় করে যা তার জন্য অনেক বড় করলাম তার আবার যদি তার সাথে খারাপ কিছু ঘটে তবে ওই মুমিন ব্যক্তিরা ধৈর্য ধারণ করে তবে সেটাও তার জন্য কল্যাণকর হয় (মুসলিম ৭:৭২২৯)

কোন যুদ্ধে ধরা সহি করায় বাহাদুরি নয় মূলত বাহাদুরি সেই যে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে (বুখারী ৬১১৪)

এক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বললেন আমাকে কিছু উপদেশ দেন তিনি তাকে বললেন তুমি রাগ করোনা এভাবে তিনি কয়েকবার উপদেষ্টার নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বারবারই বলে গেলেন রাগ করোনা রাগ করোনা রাগ করোনা (বুখারী শরীফ ৬১১৬)

তোমাদের সন্দেহের বিষয়টিকে নিশ্চিত বিষয়ের উপর ছেড়ে দাও আর তা নিশ্চয়ই সত্য হলো প্রশান্তি এবং বড়ই মিথ্যার অশান্তি (তিরমিজি ৪:২৫১০)

যেখানেই থাকবে মহান আল্লাহকে ভয় করবে মন্দ কাজের অনুভূতিতে কোন নেক কাজ করে ফেললে তাতে মন্দ অবস্থিত হয়ে যাবে মানুষের সঙ্গে সবসময় সুন্দর ব্যবহার করবে (তিরমিজি ১৯৯৩)

ইসলামিক কষ্টের উক্তি

আমরা আরো চেষ্টা করেছি ইসলামিক কষ্টের উক্তি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনারা যারা অনলাইনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য কিংবা ইসলামিক কষ্টের উক্তি। ফেসবুকে শেয়ার করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় ইইসলামিক কষ্টের উক্তি খুঁজছেন তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা আপনাদের মাঝে বিভিন্ন ইসলামিক কষ্টের উক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনাদের প্রিয় ইসলামিক কষ্টের উক্তি আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনারা পেয়ে যাবেন। নিচে বিভিন্ন ইসলামিক কবিতা তুলে ধরা হলো:

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী জিনিস কি?
◑মেয়ের বিদায় বেলায় বাবার দোয়া!

☞পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় ব্যাক্তি কে?
◑যার নিজেকেও নিজের ভালো লাগেনা!

☞পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক বিছানা কোনটা?
◑সাড়ে তিন হাত মাটির ঘর!.

জীবন চলার পথে হাজার মানুষের সাথে আমাদেরকে ওঠা বসা করতে হয়। তন্মধ্যে কিছু বন্ধু আমাদের
জুটে যায় কিন্তু প্রকৃত বন্ধু নির্বাচনে আমরা অনেকেই ভুল করে থাকি।

“সূরা ইয়াসিন”এর এমন একটি আয়াত আছে যেটা জিকির করলে জীবনের সকল সমস্যা দূর হয়ে যায়!

-“সালামুন কাওলাম মীর রাব্বীর রাহীম” 🖤

( আয়াতঃ৫৮)

ইসলামিক কষ্টের উক্তি
ইসলামিক কষ্টের উক্তি

দুনিয়াতে যারা আল্লাহর জন্য সিজদা করেনি

কিংবা লোক দেখানোর জন্য সিজদা করেছে তারা

সেদিন আল্লাহকে সিজদা দিতে পারবে না(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সা:)

[সূরা কালাম ৪২-৪৩]

মুমিনদের হিসাব হবে মুখোমুখি(আলহামদুলিল্লাহ) [মিশকাত]

যার হিসাব পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক ভাবে যাচাই করা হবে, সে ধবংস হবে(সুবহানআল্লাহ) [মিশকাত৫৩১৫]

ঐদিন মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে(আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার) [সূরা

ইয়াসিন-৬৫]

হাত, পা, কান, চক্ষু এবং চামড়া মানুষের বিরুদ্ধে

সাক্ষ্য দিবে(আল্লাহু আকবার)[সূরা নুর ২৪]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *