কবরে মাটি দেওয়ার দোয়া: দুনিয়াতে প্রতিটি মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। দুনিয়ার জীবনে যেমন জন্মের মাধ্যমে একজন মানুষের জীবন শুরু হয়ে থাকে তেমনি মৃত্যুর মাধ্যমে জীবনের সমাপ্তি ঘটে। পৃথিবীতে প্রতিটি ধর্মের অনুসারীগণ নিজস্ব ধর্মীয় মতামত অনুযায়ী তাদের দুনিয়ার জীবনের শেষ কীর্তি সম্পন্ন করে থাকেন। পৃথিবীতে সব থেকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম এবং সবথেকে শ্রেষ্ঠ জাতি হচ্ছে মুসলিম জাতি যারা মহান আল্লাহ তাআলার পবিত্র জীবন বিধান অনুসারে নিজের দুনিয়ার জীবনকে পরিচালনা করে থাকে। প্রতিটি মুসলিম ও মুমিন ব্যক্তি সুখে দুঃখে মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করে থাকে এবং আল্লাহ তাআলার ইবাদতের প্রতি যত্নশীল হয়ে উঠে। মহান আল্লাহ তা’আলা মৃত্যুর মাধ্যমে তাদের দুনিয়ার জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে থাকেন। মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মৃত্যু প্রতিটি মানুষের জন্য অনিবার্য। তাইতো বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম ধর্মালম্বী ব্যক্তি মহান আল্লাহ তাআলার জীবন বিধান ও হাদিসের আলোকে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের সকল কার্য সম্পন্ন করে থাকেন। মুসলিমদের মৃত্যুর পর আপনজন কিংবা আত্মীয়রা রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী কবর দিয়ে থাকে। ইসলামিক জীবন বিধান অনুযায়ী মৃত্যুর পরবর্তী কার্য যেমন দাফন কাফন সমস্ত কিছু সম্পন্ন করে থাকে। ইসলামী জীবন বিধানে কবরের মাটি দেওয়ার দোয়া রয়েছে। তাইতো অনেকেই কবরে মাটি দেওয়ার দোয়াটি অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকে কবরে মাটি দেওয়ার দোয়াটি বাংলা ও আরবিতে তুলে ধরা হয়েছে।
কবর প্রতিটি মুসলিম ও মুমিনের পরকালের জীবনের প্রথম ধাপ। পৃথিবীতে প্রতিটি মুমিন কিংবা মুসলিম মৃত্যু নামক সত্যিরমাধ্যমে বিদায় নিয়ে থাকে এবং পরকালের জীবন শুরু করে থাকে। প্রতিটি মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধুদের মৃত্যুতে যেমন সন্তপ্ত হয়ে উঠে তেমনি মহান আল্লাহতালার ইসলামের জীবন বিধান অনুসারী এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস মোতাবেক শেষ কার্য সম্পন্ন করার চেষ্টা করে থাকেন। মুসলিমদের জানাজা শেষে কবর দেওয়া হয়। এ কবরে রাখার পূর্বে জানাজা যেমন সম্পন্ন হয় এবং কবরে রাখার জন্য কবরের দোয়া রয়েছে যে দোয়াটি পরে প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তি লাশ কবরে দাফন করে থাকেন। কবর মূলত মানুষের পরকালের জীবনের প্রথম স্তর কিংবা প্রধান ধাপ যা মানুষের দুনিয়ার জীবনের কৃতকর্মের উপর সুখ শান্তি নির্ভর করে থাকে। কবরে প্রতিটি মানুষকে ফেরেশতার সম্মুখীন হতে এবং তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। দুনিয়ার জীবনে যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ তাআলার পবিত্র জীবন বিধান অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করেছেন এবং সৎপথে থাকার চেষ্টা করেছেন তিনি মূলত কবরে জীবনে সকল প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারবেন এবং কবরের শান্তি লাভ করবেন। তাই আমাদের অবশ্যই দুনিয়ার পার্থিব জীবনের মোহে না পড়ে অবশ্যই কবরের জীবন সম্পর্কে ভাবতে হবে এবং কবরের জীবনের সঞ্চয় করতে হবে।
আরও পড়ুন: শিশুর কান্না থামানোর দোয়া উচ্চারণ ও অর্থ
কবরে মাটি দেওয়ার দোয়া
পৃথিবীতে ইসলাম এমন একটি জীবন বিধান যা মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। ইসলামিক জীবন বিধানের মাধ্যমে মূলত প্রতিটি মানুষ জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে ইসলামের দিকনির্দেশনা গুলো সহজেই জানতে পারি। ইসলামে মানবসন্তান জন্মগ্রহণ করলে যেমন ইসলামী বিভিন্ন ধরনের দোয়া কিংবা ছোট ছোট আমল রয়েছে তেমনি মৃত্যুবরণ করলেও ইসলামিক জীবন বিধান কিংবা হাদিস অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে দাফন কাফনের ব্যবস্থা রয়েছে। তাইতো অনেকে ই কবরে মাটি দেওয়ার দোয়া সম্পর্কে জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আজকে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছি। আপনারা আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে কবরের মাটি দেওয়ার দোয়াটি বাংলা ভাষায় কিংবা আরবিতে জানতে পারবেন। আপনারা আমাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে কবরের মাটি দেওয়ার দোয়াটি সংগ্রহ করে সকল মুসলিমের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকে জানাতে পারবেন। নিচে কবরের মাটি দেওয়ার দোয়া তুলে ধরা হলো,
হাদিস শরিফে এসেছে,হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রাসূল (সা.) এর কন্যা উম্মে কুলসুমকে কবরে রাখা হয় তখন রাসূল (সা.) বললেন,
مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى . بِسْمِ اللَّهِ وَفِى سَبِيلِ اللَّهِ وَعَلَى مِلَّةِ رَسُولِ اللَّ
কোনও ব্যক্তিকে মাটি দেওয়ার সময় এটা বলার নিয়ম হলো, প্রথমবার মাটি দেওয়ার সময় ‘মিনহা খালাকনাকুম’ বলতে হয়। দ্বিতীয়বার ‘ওয়া ফিহা নুঈদুকুম’ বলতে হয়। আর তৃতীয়বার বলতে হয়— ‘ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা’। -(সুনানে বায়হাকী, হাদিস: ৬৯৭৩, রদ্দুল মুহতার : ৩/১৪৩, ১৫৪)
পিতা মাতার কবর জিয়ারতের দোয়া
কবর জিয়ারতের বান্দা গুণাহ ছেড়ে দিয়ে নেক আমলের দিকে অগ্রগামী হয় বান্দা। অনেকেই অনলাইনে পিতা মাতার কবর জিয়ারতের দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্যগুলো অনুসন্ধান করে থাকেন। তাদের জন্য আজকের প্রতিবেদনটি আমরা নিয়ে এসেছি যেখানে পিতা মাতার কবর জিয়ারতের দোয়া তুলে ধরেছি। তাইতো অনেকেই কবর জিয়ারতের দোয়া অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের জন্য আজকের প্রতিবেদনটি আমরা তুলে ধরেছি। নিচে পিতা মাতার কবর জিয়ারতের দোয়া তুলে ধরা হলো,
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ أَنْتُمْ سَلَفُنَا وَنَحْنُ بِالأَثَرِ
অর্থ: ‘হে কবরবাসী! তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের ক্ষমা করুন। তোমরা আমাদের আগে কবরে গিয়েছ এবং আমরা পরে আসছি।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসূল (সা.) মদিনার কবরবাসীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই দোয়া পাঠ করেন।’ (তিরমিজি: ১০৫৩)
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, একবার নবী করীম (সা.) একটি কবর জিয়ারত করতে গিয়ে বলেন السَّلامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤمِنينَ وإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاحِقُونَ
উচ্চারণ: ‘আসসালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিম মুমিনিন ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লা-হিকুন’