কসরের নামাজের নিয়ত

কসরের নামাজের নিয়ত | কসরের নামাজের নিয়ম

কসরের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরবো। পৃথিবীতে প্রতিটি মুসলিমের জীবনের একটি সর্বজনীন ইবাদত হচ্ছে নামাজ। নামাজ মূলত মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পৃথিবীর প্রতিটি মুসলিম নারী পুরুষের উপর ফরজ করা হয়েছে। পৃথিবীতে ইসলাম যে পাঁচটি স্তম্ভ কিংবা খুটির উপর প্রতিষ্ঠিত তার মধ্যে দ্বিতীয় স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ আরবি ভাষায় সালাত বলা হয়। এটি মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজ একটি ইবাদত। এই ইবাদতের মাধ্যমে একজন মুসলিম দুনিয়ার জীবনে যেমন মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে তেমনি আখিরাতের জীবনের চির শান্তির জান্নাত লাভ করতে পারবে। নামাজ এমন একটি ইবাদত যা দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনের সুখ-শান্তি মহান আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে লাভ করতে সাহায্য করে থাকে। নামাজের মাধ্যমে মূলত একজন বান্দা মহান আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পেয়ে থাকে। তাইতো ধর্মপ্রাণ প্রতিটি মুসলিম পরিপূর্ণভাবে মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদতের প্রতি যত্নশীল হয়ে উঠে। নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত কিম্বা নামাজের সঠিক নিয়ম কানুন জানতে হবে ।অনেকেই অনলাইনে কসরের নামাজ পড়ার নিয়ত সম্পর্কে জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা কসরের নামাজের নিয়ত তুলে ধরেছি।

কসর নামাজ হচ্ছে মূলত মুসাফিরেরে নামাজ। অর্থাৎ ভ্রমণকালে একজন মুসাফির ব্যক্তির নামাজ। এটি সংক্ষিপ্ত একটি নামাজ। নামাজ এমন একটি সর্বজনীন ইবাদত যা প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তির যথাসময়ে আদায় করতে হয় তাই তো মহান আল্লাহতালার পক্ষ থেকেই মূলত মুসলিমদের জন্য নামাজ ফরজ করা হয়েছে। এটি একজন মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতের সম্মান ও মর্যাদা লাভ করতে সাহায্য করে থাকে। নামাজ আরবি ভাষা সালাত বলা হয় ফারসি ভাষায় মূলত নামাজ বলা হয়। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ আছে দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং প্রতিটি মুসলিমের জন্য সর্বজনীন একটি ইবাদত। মহান আল্লাহ তা’আলা মুসলিমদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফরজ করে দিয়েছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে রয়েছে ফজর যোহর আসর মাগরিব ও এশা। যথা সময়ে নামাজ আদায় করা প্রতিটি মুসলিমের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। শুধুমাত্র সঠিক সময় নামাজ আদায় করলে হবে না বরং প্রতিটি নামাজের নিয়ম কানুন থেকে শুরু করে নামাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সকল কিছু সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত মহান আল্লাহ তাআলার সকল ইবাদত ও বন্দেগীর প্রতি যত্নশীল হওয়া তাহলে আমরা দুনিয়া ও আখেরাতে সন্তুষ্টি লাভ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।

আরও পড়ুন: কবরে মাটি দেওয়ার দোয়া | পিতা মাতার কবর জিয়ারতের দোয়া

কসরের নামাজের নিয়ত

অনেকেই অনলাইনে কসর নামাজ পড়ার নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্যগুলো অনুসন্ধান করে থাকেন। তাদের জন্য আজকের প্রতিবেদনটি আমরা নিয়ে এসেছি যেখানে কসর নামাজ পড়ার নিয়ত তুলে ধরেছি। নামাজ হচ্ছে মূলত সর্বজনীন একটি ইবাদত যা প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজ করা হয়েছে তাই তো আমরা জীবনে যে পর্যায়ে অবস্থান করি না কোন আমাদের সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যাতে সময়ে আদায় করতে হবে। মূলত কসর নামাজ হচ্ছে মুসাফির ব্যক্তির নামাজ। তাইতো অনেকেই কসরের নামাজের নিয়ত অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের জন্য আজকের প্রতিবেদনটি আমরা তুলে ধরেছি। নিচে ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত তুলে ধরা হলো,

কছর নামাজ পড়ার নিয়ত
কছর নামাজ পড়ার নিয়ত

আমরা যেভাবে ফরজ নামাজের নিয়ত করি ঠিক সেভাবে ফরজ সালাতের মত করে কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করতে হবে শুধুমাত্র সেখানে কসরের নামাজ এবং দুই রাকাত কথাটি উল্লেখ করে দিতে হবে। কিন্তু আপনাদেরকে কসর নামাজ আদায়ের জন্য নিয়ত সঠিক রাখতে হবে এবং সেই নিয়ত আরবীতে অথবা বাংলায় উচ্চারণ করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনারা মনে মনে কসর নামাজের নিয়ত করে নিতে পারবেন। নিচে কসর নামাজের নিয়ম আলোচনা করা হলো।

কসরের নামাজের নিয়ম

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে মুসাফির ব্যক্তি যাত্রাপথে নির্দিষ্ট দূরত্বে যদি চলে যান তাহলে যোহর, আসর এবং এশার সালাতের চার রাকাত ফরজ এর পরিবর্তে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। আর এ নামাজ সম্পর্কে হাদীসে এসেছে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হজ, ওমরা এবং যুদ্ধ সহজে কোন শহরে সময় কদরের নামাজ আদায় করতেন।

সুতরাং কসরের নামাজের নিয়ম হচ্ছে-

  • যদি কোন ব্যক্তি ৪৮ মায়ের অতিক্রম করে তাহলে সে কসরের নামাজআদায় করবেন। আর সেই সফরে স্থান যদি ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত হয় তবে ওই ব্যক্তি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে তার নামাজ কসর আদায় করবেন।
  • প্রথমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে ওযু অথবা তায়াম্মুম করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে কসর নামাজের জন্য নিয়ত করতে হবে। ( এখানে লক্ষণীয় যে কসর নামাজের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র  যোহর, আসর এবং এশার নামাজের ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরিবর্তে দুই ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত করতে হবে)।
  • এরপর আমরা যেভাবে ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করি ঠিক সেভাবে দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।
  • এক্ষেত্রে আপনারা সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর যে কোন সূরা পাঠ করে কসরের নামাজ আদায় করতে পারেন।
  • তবে মুসাফিরকে অবশ্যই মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ এবং এশার দুই রাকাত ফরজ এর সাথে ৩ রাকাত বিতর নামাজ অবশ্যই পড়তে হবে।
  • যদি কোন ব্যক্তি তার ব্যস্ততার জন্য সুন্নত নামাজ আদায় না করতে পারে তাহলে এর কোন গুনাহ হবে না তবে যদি কোন ব্যক্তি সুন্নত নামাজ গুলো আদায় করে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য এটি উত্তম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *