সরকার নিয়ে উক্তি

সরকার নিয়ে উক্তি, মুজিবনগর সরকার নিয়ে প্রশ্ন

সরকার নিয়ে উক্তি: একটি রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে গঠন করার জন্য সরকার এর প্রয়োজন রয়েছে। রাষ্ট্রকে পরিপূর্ণভাবে গঠন করার জন্য যেমন জলে সমষ্টি কিংবা ভূখণ্ডের প্রয়োজন রয়েছে তেমনি রাষ্ট্র গঠনের জন্য সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিচিত। একটি দেশের দেশ প্রধানকে সাধারণত সরকার বলা হয় অর্থাৎ দেশের শাসনে যেসব ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে থাকেন তাদেরকে মূলত সরকারি মহল বলা হয় এবং যিনি দেশের সমস্ত কিছু রক্ষণাবেক্ষণ এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকেন তিনি হচ্ছেন দেশ প্রধান কিংবা সরকার। বিশ্বের প্রতিটি দেশে জনগণের শান্তি শৃঙ্খলা এবং দেশে সুশাসনের লক্ষ্যের মূলত সরকার গঠিত হয়।এই সরকার দেশের প্রতিটি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তাইতো স্বাধীন বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে প্রতিটি মানুষের সরকার সম্পর্কিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। তাই আজকে আমরা আপনাদের জন্য সরকার নিয়ে উক্তি এবং মুজিবনগর সরকার নিয়ে প্রশ্নগুলো তুলে ধরেছি। যা আপনাদের বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় সরকারের প্রয়োজন ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।

একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য যে সমস্ত উপাদানের প্রয়োজন রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে সরকার যা মূলত রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা কিংবা জনগণের জীবনকে নিরাপদ ও তাদের অধিকার গুলো আদায় করার জন্য গঠিত হয়ে থাকে। প্রতিটি দেশের সরকার মূলত জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং সরকার নির্বাচিত হওয়ার সময় সীমা মূলত পাঁচ বছর অর্থাৎ জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার শুধুমাত্র পাঁচ বছরের জন্য দেশের শাসন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক একটি দেশ হওয়ার কারণে অর্থাৎ জনগণের মতামতের গুরুত্ব দেওয়ার কারণে মূলত জনগণের প্রত্যক্ষ মতামতের ভিত্তিতে সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার থেকে শুরু করে বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের সরকার গঠন প্রক্রিয়া মূলত একইভাবে প্রতিনিয়ত পরিচালিত হয়ে আছে। প্রতিটি দেশের সরকারের মতো বাংলাদেশের সরকার দেশের প্রতিটি অঞ্চলে জনগণের সামাজিক নিরাপত্তা কিংবা তাদের অধিকার এবং স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার সকল কিছু সরকারি মহল ও বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করে থাকেন। এই সরকার মূলত দেশ পরিচালনার জন্য সাংবাদিক নিয়ম গুলো অনুসরণ করে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবন পরিচালনা করার লক্ষ্যে কাজ করে যান। তাইতো প্রতিটি রাষ্ট্র সরকারের গুরুত্ব ও প্রয়োজন রয়েছে।

আরও দেখুনঃ খেলাধুলা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি, স্ট্যাটাস ও বাণী

সরকার নিয়ে উক্তি

একটি রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে সরকার যা দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশে মূলত জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সরকার নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে পাঁচ বছর দেশের প্রতিটি অঞ্চলের শাসনব্যবস্থা থেকে শুরু করে জনগণের সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা সকল দায়ভার গ্রহণ করে থাকে। তাইতো একজন মানুষ হিসেবে প্রতিটি মানুষের উচিত দেশের সরকারি মহল ও সরকার সম্পর্কিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা। তাই আমরা আজকে সরকার নিয়ে উক্তিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি যার মাধ্যমে আপনারা সরকারকে এ সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য ও ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন। নিচে সরকার নিয়ে উক্তিগুলো উপস্থাপন করা হলো:

চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে, কথাবলার স্বাধীনতা থাকবে, কাজের স্বাধীনতা থাকবে এবং উপসনার স্বাধীনতা থাকবে- এই হলো গণতন্ত্রের মতাদর্শ

– থিউডোর পার্কার

ব্যক্তির মূল্য ও মর্যাদা দানই হলো গণত্রন্ত্রের প্রথম কথা। মানব প্রকৃতির সাম্যের বিভক্তিতে গঠিত এই মর্যাদা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভাবে সকল ব্যক্তির মধ্যে সমানভাবে বর্তমান। সুতরাং সাম্যই গনতন্ত্রের মূখ্য আদর্শ।

– এডওয়ার্ড বেলামী

যে সরকার দেশের অধিকাংশ জনগণের কথা চিন্তা করে না , সে সরকার আদৌ কোনো সরকার নয়।

– এডওয়ার্ড ফেয়ার ফক্স

কোন ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশোধ করতে অপারগ হয়ে পড়ে, তবে সে ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব সরকারী কোষাগারকে বহন করতে হবে

– হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)

বাকিতে ক্রয় করে যে পোষ্যপালন করেছে, সে ব্যক্তি যদি ধনবান ও অপরাধী না হয়ে থাকে, তবে তার সে ধার সরকারী কোষাগার থেকে পরিশোধ করে দাও

– হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)

রাষ্ট্রের কোষাগারে যা আছে, তা জনগনের আমানত এবং তাদের কল্যানের জন্যই সঞ্চিত। যে পর্যন্ত জনগণের প্রয়োজন পূর্ণ না হবে, সে পর্যন্ত আমাদেরকে খরচ করতে হবে। যদি কোষাগার শূন্য হয়ে যায়, তবে কষ্টের জীবন সকলে মিলে ভাগ করে নেব।

– হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)

অপরাধীদের ক্ষমা করা উপরওয়ালার দায়িত্ব, কিন্তু তাদের উপরওয়ালার কাছে পাঠানো আমার দায়িত্ব

– ভ্লাদিমির পুতিন

আমার কাছে ক্ষমতা মানেই হচ্ছে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা

– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মুজিবনগর সরকার নিয়ে প্রশ্ন

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মূলত মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। এই মুজিবনগর সরকার গঠনের প্রক্রিয়াটি মূলত তৎকালীন দেশের রাজনৈতিক নেতা তৈরি করে থাকে। মুজিবনগর সরকার মূলত ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল গঠিত হয়। এই মুজিবনগর সরকার গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা। তাইতো 1971 সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের ব্যাপক অবদান রয়েছে। এজন্য অনেকেই মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে আজকে মুজিবনগর সরকার নিয়ে সকল প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। নিচে মুজিবনগর সরকার নিয়ে সকল প্রশ্ন তুলে ধরা হলো:

প্রশ্ন : কোথায় থেকে জারিকৃত স্বাধীনতার ঘােষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়—
(বাপেক্স’র অফিসার ২০০৯)
উত্তর : মুজিবনগর, মেহেরপুর।

প্রশ্ন : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কবে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে?
(৩৯তম বিসিএস)
উত্তর : ১০ এপ্রিল ১৯৭১।

প্রশ্ন : কবে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভা গঠিত হয়?
(গণপূর্ত অধিদপ্তরের হিসাব সহকারী ২০০৮-০৯)
উত্তর : ১০ এপ্রিল ১৯৭১।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার কোন পদ্ধতির সরকার ছিল?
(ইবি ২০০২-০৩)
উত্তর : রাষ্ট্রপতি শাসিত।

প্রশ্ন : মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার কত তারিখে শপথ গ্রহণ করেন?
(পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ২০১৯)
উত্তর : ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন?
(NRB সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ২০১২)
উত্তর : অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী।

প্রশ্ন : প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সদর দপ্তর ছিল—
(পিএসসি’র সহকারী পরিচালক ২০১৬)
উত্তর : ৮নং থিয়েটার রােড, কলকাতা।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানীর নাম কী?
(হাদাবিপ্রবি : ২০১৭-১৮)
উত্তর : মুজিবনগর।

প্রশ্ন : মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য কতজন ছিলেন?
(চবি : ১৪-১৫)
উত্তর : ৬ জন।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
(১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন)
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন—
(প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক : ১৮)
উত্তর : সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে?
(১৫তম প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয় পরীক্ষা (কলেজসমপর্যায়) ২০১৯)
উত্তর : তাজউদ্দীন আহমদ।

প্রশ্ন : মুজিবনগর সরকারের অর্থনীতি বিষয়ক ও পরিকল্পনা বিভাগের দায়িত্বে কে ছিলেন?
(৪৩তম বিসিএস)
উত্তর : তাজউদ্দীন আহমদ।

প্রশ্ন : মুজিবনগর সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন?
(১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন)
উত্তর : এম মনসুর আলী।

প্রশ্ন : মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী কে ছিলেন?
(৩৮তম বিসিএস)
উত্তর : এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী ছিলেন—
(প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক : ০৯ )
উত্তর : খন্দকার মােশতাক আহমেদ।

প্রশ্ন : মুজিবনগর সরকারের মুখ্য সচিব কে ছিলেন?
(বেবিচকের উচ্চমান সহকারী : ২১)
উত্তর : রুহুল কুদ্স।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিলেন?
(একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাঠ সহকারী ২০১৮)
উত্তর : মওলানা ভাসানী।

প্রশ্ন : মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সংখ্যা কতজন ছিল?
(তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ২০১৯)
উত্তর : ৮ জন। (সূত্র : বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১; এইচ টি ইমাম।)

প্রশ্ন : মুজিবনগর সরকারের কতটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ছিল?
(চবি : ৯৮-৯৯)
উত্তর : ১২টি। (সূত্র : বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১; এইচ টি ইমাম)

প্রশ্ন : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র কত তারিখ গৃহীত হয়?
(মাভাবিপ্রবি ‘ডি’ ইউনিট ২০১৭-১৮)
উত্তর : ১৭ এপ্রিল।

প্রশ্ন : ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর’ কোন সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
(DN’র উপ-পরিদর্শক ২০১৯)
উত্তর : ৮নং।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল কেন এ বিখ্যাত?
(GA’র জুনিয়র অডিটর ২০১৪)
উত্তর : বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ নেন।

প্রশ্ন : মুজিবনগর কোন জেলায় অবস্থিত?
(৩৩তম বিসিএস)
উত্তর : মেহেরপুর।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র পাঠ করা হয়
(টেলিযােগাযােগ মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ২০০৩)
উত্তর : মুজিবনগর হতে।

প্রশ্ন : বাঙালিদের কাছে ১০ এপ্রিল তাৎপর্যপূর্ণ কেন?
(ববি ১৩-১৪)
উত্তর : মুজিবনগর সরকার গঠন।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধকালে কত তারিখে কলকাতার ৮নং থিয়েটার রােডে ‘বাংলাদেশ বাহিনী) গঠন করা হয়?
(৪১তম বিসিএস)
উত্তর : ১২ এপ্রিল ১৯৭১।

প্রশ্ন : কবে মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়?
(পেট্রোবাংলার উচ্চমান সহকারী ২০১৭)
উত্তর : ১৭ এপ্রিল।

প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকার নাম কী ছিল?
(৪২তম বিসিএস)
উত্তর : জয় বাংলা।

প্রশ্ন : মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে?
(১০ম বিজেএস : ২০১৬)
উত্তর : তানভীর করিম।

প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে কোন গ্রামের নামকরণ ‘মুজিবনগর’ করা হয়?
(DPE’র প্রােগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ২০২০)
উত্তর : ১৯৭১ সালে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার ভবের পাড়া গ্রামের নাম ‘মুজিবনগর’ করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *