লোকমান হাকিম

লোকমান হাকিমের উপদেশ | Top 76 Motivational Quotes

লোকমান হাকিম বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি খ্রিস্টপূর্ব একাদশ শতাব্দীতে বর্তমান সুদানের নুবিয়ায় বসবাস করতেন বলে ধারণা করা হয়। তার নামে পবিত্র কুরআনের একত্রিশতম সূরা, সূরা লুকমান নামকরণ করা হয়। আমরা লােকমান হাকিমের ৭৬টি উপদেশ উল্লেখ করেছি যা তিনি তাঁর পুত্রকে মৃত্যুর সময় প্রদান করেন।

লোকমান হাকিম
লোকমান হাকিমের উপদেশ

আরও পড়ুন: টাইপোগ্রাফি জন্য সেরা ৭০টি বাংলা ফন্ট ডাউনলোড করুন

লোকমান হাকিমের উপদেশ সমূহ:

(১) হে প্রিয় ছেলে! আল্লাহকে চিনো।
(২) মানুষকে যা কিছু সৎ উপদেশ দিবে, প্রথমে নিজে তুমি উহার উপর আমল কর।
(৩) কথা নিজের আন্দাজ হিসাবে বলবে না।
(৪) মানুষের মর্যাদা বুঝিও।
(৫) মানুষের হক বা প্রাপ্য চিনিও।
(৬) নিজের ভেদ বা রহস্যের প্রতি লক্ষ্য রাখ (রক্ষণাবেক্ষণ কর)।
(৭) বিপদের সময় বন্ধুকে পরীক্ষা কর।
(৮) বন্ধুকে লাভ লােকসানের (ভালমন্দের) মাধ্যমে পরীক্ষা কর।
(৯) মূর্খ এবং বেওকুফ হইতে দূরে থাকো।
(১০) চতুর ও বুদ্ধিমান (বিচক্ষণ) বন্ধু গ্রহণ কর।
(১১) ভাল কাজে চেষ্টা ও পরিশ্রম কর।
(১২) কথা দলীল প্রমাণ সহ বল।
(১৩) বন্ধু বান্ধবকে প্রিয় রাখিও।
(১৪) শত্রু মিত্রর সাথে চেহারা প্রসন্ন রেখো।
(১৫) মাতাপিতাকে মহা সম্পদ (সৌভাগ্য) মনে কর।
(১৬) উস্তাদকে সর্বোত্তম পিতা মনে কর।
(১৭) আয় হিসাবে ব্যয় কর।
(১৮) সমস্ত কাজে মধ্যম পন্থা অবলম্বন কর।
(১৯) বীরত্বকে নিজ পেশা মনে কর।
(২০) জিহ্বাকে সংযত রাখ।
(২১) পােশাক ও শরীর পাক রাখ।
(২২) জামাতের সাথে (সৎ লােকদের) বন্ধুত্ব রাখ।
(২৩) সম্ভব হইলে ঘােড়ায় চড়া এবং তীর নিক্ষেপ করা শিখ।
(২৪) প্রত্যেকের সাথে তার যোগ্যতা অনুসারে কাজ কর।
(২৫) রাতে যখন কথা বল, আস্তে বল এবং অনুচ্চ স্বরে বল, আর যখন দিনে বল, চতুর্দিক লক্ষ্য রেখে কথা বল।
(২৬) কম খাওয়া, কম বলা, কম শােনার অভ্যাস কর।
(২৭) যাহা নিজের জন্য পছন্দ কর না, উহা অপরের জন্যও পছন্দ করিও না।
(২৮) সমস্ত কাজ বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার সাথে কর।
(২৯) না শিখে উস্তাদী করিও না।
(৩০) অন্যের জিনিসের প্রতি লােভ করিও না।
(৩১) খারাপ বংশের লােকদের নিকট হইতে হৃদ্যতার আশা করিও না।
(৩২) কোন কাজেই চিন্তা মুক্ত হইও না অর্থাৎ বুঝিয়া শুনিয়া চিন্তা ভাবনা করিয়া কাজ করিও।
(৩৩) যাহা কর নাই, তাহা করিয়াছ মনে করিও না।
(৩৪) আজকের কাজ আগামীকালের জন্য রাখিও না।
(৩৫) বয়সে বড়দের সাথে ঠাট্টা করিও না।
(৩৬) বয়স্ক বা সম্মানিত লােকদের সহিত কথা দীর্ঘায়িত করিও না।
(৩৭) মুখাপেক্ষীদিগকে নিরাশ করো না।
(৩৮) অতীতের ঝগড়া বিবাদ স্মরণ করো না।
(৩৯) নিজের ধন সম্পদ শত্রু মিত্রকে দেখিও না।
(৪০) আত্মীয় স্বজন থেকে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করো না।
(৪১) যাহারা ভাল, পরোক্ষভাবে তাহাদের নিন্দা করো না।
(৪২) নিজের প্রতি লক্ষ্য করিও না, অর্থাৎ নিজেকে বড় মনে করো না।
(৪৩) মানুষের সামনে মুখে নাকে আঙ্গুল দিও না।
(৪৪) মানুষের সামনে দাঁত খিলাল করো না।
(৪৫) উচ্চ আওয়াজে নাক মুখ পরিষ্কার করো না বা সর্দি কাশি নিক্ষেপ করো না।
(৪৬) হাই উঠার সময় মুখে হাত রাখ।
(৪৭) অনর্থক কথাবার্তা (বাজে কথা) বলো না।
(৪৮) মানুষকে মানুষের সামনে লজ্জা দিও না।
(৪৯) চোখ ইশারা দ্বারা কাহারও সম্মানের হানী করো না।
(৫০) বলা কথা পুনর্বার বল।
(৫১) যে কথায় হাসি আসে, তাহা হইতে বিরত থাক।
(৫২) নিজের প্রশংসা কাহারাে সামনে করো না।
(৫৩) নিজেকে মহিলাদের মত সাজিও না বেশভূষা ধারণ করো না)।
(৫৪) কথা বলার সময় হাত হেলাইও না।
(৫৫) মানুষের অমঙ্গল কামনাকারীদের সাথী হইও না।
(৫৬) মৃত ব্যক্তির দোষ (কুৎসা) বর্ণনা (রটনা) করো না, কেননা ইহাতে কোন লাভ নাই।
(৫৭) যথাসম্ভব ঝগড়া করো না।
(৫৮) সৎ লােকদের সম্পর্কে ভাল ছাড়া মন্দ ধারণা করো না।
(৫৯) নিজের রুটি অন্যের দস্তরখানে (ঘরে) খেওনা।
(৬০) কাজে তাড়াহুড়া করো না।
(৬১) দুনিয়ার জন্য নিজেকে কষ্টে/বিপদে ফেলো না।
(৬২) রাগের সময় কথা মেপে বল।
(৬৩) নাকের পানি (সর্দি) আস্তিন (জামার হাতা) দ্বারা পরিষ্কার করো না।
(৬৪) সূর্য উদয়ের সময় ঘুমিও না।
(৬৫) রাস্তায় চলার সময় বড়দের সামনে চলবে না।
(৬৬) মানুষের কথার মধ্যে অনধিকার চর্চা করো না।
(৬৭) ডানে বামে তাকাবে না।
(৬৮) মেহমানের সম্মুখে কাহারাে প্রতি রাগ করবে না।
(৬৯) মেহমানকে কোন কাজের আদেশ দিও না।
(৭০) পাগল ও মাতালদের সাথে কথা কথা বলোনা।
(৭১) সাধারণ মানুষ এবং লােচ্চাদের (লম্পট, বখাটে) সাথে রাস্তায় বসিও না।
(৭২) যে কোন লাভ লােকসানের জন্য নিজের মান সম্মান হারাইও না।
(৭৩) উদ্ধত ও অহংকারী হইও না।
(৭৪) ঝগড়া ও ফেতনা ফাসাদ হইতে দূরে থাক।
(৭৫) বিনয়ী হও।
(৭৬) জীবন কাটাও আল্লাহর সাথে সততার সহিত, এবং নফস বা প্রবৃত্তির সাথে কঠোরতার সহিত, এবং মানুষের সাথে ন্যায় ও ইনসাফের সহিত, এবং বুযর্গদের সাথে খেদমতের সহিত, এবং ছােটদের সাথে দয়া ও উদারতার ( সহিত, এবং দরবেশদের সাথে আনুকল্যের সহিত, এবং শত্রুদের সাথে সহনশীলতার সহিত; এবং আলেমদের সাথে বিনয়তার সহিত, এবং মূর্খদের সাথে হিত উপদেরশের সহিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *