মাওলানা ফয়জুর রহমান

হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.)-এর জীবনী

হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) ছিলেন একজন শীর্ষস্থানীয় আলেমেদ্বীন। বড় মসজিদ নামে খ্যাত ময়মনসিংহ বড় মসজিদে তিনি প্রায় ৬০ বৎসর ইমামতি করেন। তাকওয়া ও পরহেজগারিতে এত উচ্চাঙ্গের ছিলেন যে, তা দেখে মুগ্ধ হয়ে ১৯৬৭ সালে মাওলানা আব্দুল ওয়াহহার (রহ.) তাকেই খেলাফত প্রদান করেন। পরবর্তীতে থানবী (রহ.)-এর অপর খলিফা আমীরে শরীয়ত, মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর তাঁকে খেলাফত প্রদান করেন।

মাওলানা ফয়জুর রহমান
হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.)-এর জীবনী

মহান আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদীর মধ্য থেকে যুগে যুগে এমন কিছু মনীষীর আবির্ভাব ঘটিয়ে বিশ্ববাসীর উপর তার ওপর করুণা ও মেহেরবানি বহিঃপ্রকাশ ঘটান। যাদের জীবন হয় আর প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা, দূরদর্শিতা, পারদর্শিতা, আধ্যাত্মিকতা প্রভৃতি যাবতীয় মহৎ গুণাবলীতে সমৃদ্ধ। যাদের রেখে যাওয়া আদর্শ অনাগত মানুষটি গোষ্ঠীর জন্য হয় মুক্তির পাথেয়, যাদের জীবন চরিত্র বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট মানব সমাজকে দান করে সিরাতে মুস্তাকিমের দিশা।

এমনই এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা; বরং গোটা বাংলার গৌরব, শীর্ষস্থানীয় আলেমে হাক্কানি, মুজাহিদে মিল্লাত, মুর্শিদের কামেল, ব্রিটিশ বিরোধী ও ইসলামী আন্দোলনের বীর সেনানী আলহাজ্ব হাফেজ হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.)।

হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.)-এর জীবনী

জন্ম ও বংশ পরিচিতি:

ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানা দিন বালিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ঘোষগাঁও গ্রামের এক ধার্মিক ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে আনুমানিক ১৩২২ বাংলা মোতাবেক হাজার ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব মৌলভী আবদুল জব্বার ও মাতার নাম বিবি মরিয়ম।

প্রাথমিক শিক্ষা:

পারিবারিকভাবে মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.)-এর প্রাথমিক শিক্ষার সূচনা হয়। এরপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে রূপসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে দু’বছর লেখাপড়া করার পর পার্শ্ববর্তী বেলাটিয়া বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের সাথে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করেন।

ফুফুর বাড়ি থাকাকালে প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি নোয়াখালীর হুজুর নামে পরিচিত মাওলানা খলিলুর রহমান-এর কাছে আরবি, উর্দু ও ফার্সি প্রাথমিক কিতাব সমূহ পড়েন। এবং পবিত্র কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত শিক্ষা লাভ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর তিনি ফুলপুর থানা সদরে তৎকালীন ঘোষগাঁও হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে রূপসী ফকির বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা করতে থাকেন।

যখন মাওলানা ফয়জুর রহমান ঘোষগাঁও হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র তখন তার মনোজগতে আকস্মিক এক বিরাট পরিবর্তন দেখা দেয়। তীব্র ঘৃণা ও বিতৃষ্ণা জন্মে ধর্ম বিবর্জিত স্কুল শিক্ষার প্রতি। লেখাপড়ায় হয়ে ওঠেন চরম উদাসীন। অভিভাবকগণ যতই বুঝাতে চেষ্টা করেন তিনি হয়ে বিতৃষ্ণ উঠেন।

আর তিনি ভালভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন যে, “স্কুলে লেখাপড়া করব না” একথা তিনি অভিভাবককে জানালে কোন প্রকার সহমর্মিতা পাওয়ার আশা নেই। সময়টা ছিল ভারত বর্ষ থেকে ইংরেজ খেদাও আন্দোলনের তুমূল লড়াইয়ের ও গান্ধীজীর অহিংস আন্দোলনের। ইসলামী শিক্ষা গ্রহণের গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) বাড়ি ছেড়ে চলে যান আসামের লাউগাঁও নামক এলাকায়।


আরো পড়ুন: বড় মসজিদ ময়মনসিংহের ইতিহাস

মাসিক মঈনুল ইসলাম – একটি ইসলামিক পত্রিকা


সেখান থেকে পারিবারিক চাপে চলে আসেন বাড়িতে। বাড়িতে আসার পর মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.)-এর পিতা লেখাপড়ার দায়িত্ব প্রদান করেন তার মাতার আপন মামা সালিয়া-নিবাসী মাওলানা আব্দুল হাদি (রহ.)-এর কাছে। তিনি ছিলেন হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহ.)-এর শিষ্য ও ছাত্র। তিনি হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.)-এর ইলমে দ্বীন হাসিল করার সীমাহীন আগ্রহ দেখে অত্যন্ত খুশি হন এবং নিজেই প্রাথমিক কিতাবাদি পড়াতে থাকেন। তাঁকে সত্যিকারের আলেম রূপে গড়ে তোলার চিন্তা-ফিকির করতে থাকেন।

উচ্চশিক্ষা:

উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে তিনি স্বীয় নাতিকে হাকীমুল উম্মত থানবী (রহ.)-এর কাছে প্রেরণ করার লক্ষ্যে চিঠি পাঠান। থানবী (রহ.) ৩টি শর্তের ভিত্তিতে মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) কে প্রেরণের অনুমতি দেন। শর্তগুলো ছিল: ১. প্রাপ্তবয়স্ক ও শশ্রুমন্ডিত হতে হবে। ২. আল্লাহভীরু হতে হবে। ৩. নিজ খরচে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন প্রকার পূর্ব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে না।

নিজের ব্যবস্থা করতে না পারলে সম্পূর্ণ আল্লাহর প্রতি ভরসা করে থাকতে হবে। মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) আল্লাহর প্রতি ভরসা করে থানবী (রহ)-এর নিকটে চলে যান এবং প্রাথমিক অবস্থায় তিন দিন উপবাস থেকে ‘আল্লাহ ভরসা’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অতঃপর হযরত থানবী (রহ.)-এর কাছে তত্ত্বাবধানে থেকে মাত্র তিন বছরে হযরত মাওলানা গোলাম মাহমুদ (রহ.)-এর নিকট মিজান, নাহবেমীর, শরহে জামী, শরহে বেকায়া, নুরুল আনওয়ার প্রভৃতি নাহব, সরফ ও ফিকহ বিষয়ক কিতাবাদি সমাপ্ত করেন।

অতঃপর থানবী (রহ.) তাকে সাহারানপুরস্থ মাজাহিরুল উলুম মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন।

সাহারানপুর পড়াকালে সাহারানপুর মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল খালেক (রহ.)-এর কাছে ক্বেরাত পড়ে সনদ লাভ করেন। অতঃপর বাংলা ১৩৪৮ সনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করে এবং স্বীয় শাইখ হযরত মওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহ.)-এর নিকট থেকে দুআ নিয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

কর্মজীবনের সূচনা:

নিজ বাড়িতেই আকারে ছোট বাচ্চাদেরকে করানোর মাধ্যমে মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.)-এর কর্মজীবন এর সূচনা হয়। এর কিছুদিন পর তারাকান্দা বাজার গ্রাম নিবাসী, মাওলানা থানবী (রহ.)-এর মুরীদ মাওলানা মতিউর রহমান (রহ.)-এর তত্ত্বাবধান ও পরামর্শক্রমে বাংলা১৩৪৮ সনে বালিয়া বড়বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত মসজিদের পাশে কুঁড়েঘরে প্রাথমিক পর্যায়ে মক্তব হিসেবে বর্তমান জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম আলিয়া গোড়াপত্তন করেন ও সার্বিক পরিচালক হিসেবে টাকা বেতনে খেদমত আঞ্জাম দিতে থাকেন।

এর কিছুদিন পর বালিয়া নিবাসী মওলানা নুরুল হক (রহ.) কে অস্থায়ী ভিত্তিতে মাদ্রাসার মুহতামিমের দায়িত্ব দিয়ে থানবী (রহ.)-এর সাথে সাক্ষাৎ করতে থানাভবন চলে যান। সেখান থেকে থানবী( রহ.)-এর পরামর্শ অনুযায়ী খুলনা নিবাসী ইঞ্জিনিয়ার জিয়াউল ইসলাম সাহেবের পারিবারিক শিক্ষক হিসেবে যেতে সম্মত হন এবং দেশের ফিরে মাদ্রাসার দায়িত্ব মৌলভী সিরাজুল হক (রহ.) কে প্রদান করে ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের পারিবারিক শিক্ষক রূপে ১৩৫৪ সালে খুলনায় চলে যান। কিছুদিন পর ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের সাথে নিজ খরচে সর্বপ্রথম হজ্জব্রত পালন করেন।

হজ থেকে ফিরে মায়ের আদেশে নিজ বাড়ি চলে আসেন এবং পুনরায় নিজ প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন মাদ্রাসার উন্নতির সাথে সাথে এর সার্বিক ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে তাঁর চাঁদা কালেকশন এর অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এ চাঁদা কালেকশন থানবী (রহ.)-এর মর্জি বিরোধী ছিল বিধায় হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) অপছন্দ করতেন। তাই মাদ্রাসা কমিটির এ অনুরোধ রক্ষা করতে না পারায় তিনি মাদ্রাসা থেকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর অবর্তমানে ত্রিশাল থানাধীন চাউলাদি নিবাসী হযরত মাওলানা দৌলত আলী (রহ.) মুহতামিম নিযুক্ত হন এবং আজীবন মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বালিয়া মাদ্রাসা থেকে বিদায় নেওয়ার কিছুদিন পর ময়মনসিংহ শহরস্থ আকুয়া মড়ল বাড়ী মাদ্রাসার মুহতামিম ও মাদ্রাসা মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ শহরের প্রাচীনতম এলাকা কোতোয়ালি থানার সন্নিকটে অবস্থিত বড় মসজিদের পেশ ইমামের প্রয়োজন দেখা দিলে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বড় মসজিদের ইমামের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং লাগাতার প্রায় ৬০ বছর এই মসজিদের ইমামতি করেন।

কুরআনুল কারীম হিফকের প্রচণ্ড আগ্রহ থাকায় এ সময় হিফজ করেন এবং বড় মসজিদের দীর্ঘকাল খতমে তারাবীও পড়ান। বড় মসজিদের ইমাম থাকাকালে ময়মনসিংহ শহরে জামিয়া ইসলামিয়া, চরপাড়ায় মুওয়াত্ত্বা মালেক-এর ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ হাদিসের কিতাব পাঠদানরত থাকেন।

চারিত্রিক গুণাবলী:

হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) ছিলেন সততা, আমানতদারী, ন্যায়-পরায়নতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সহমর্মিতা ও আন্তরিকতার মূর্ত প্রতীক। তিনি ছিলেন অত্যন্ত অমায়িক ও মিষ্টভাষী। সাধারণ মানুষের সাথে তিনি কখনো রাগ করতেন না। কেউ তার অধিকার খর্ব করলেও তিনি তার প্রতিশোধ নিতেন না। যেন তিনি ছিলেন ধৈর্যের পাহাড়।

আধ্যাত্মিক জীবন

আত্মশুদ্ধির সাধনায় মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) ছিলেন কাদেরিয়া, নকশেবন্দিয়া, সোহরাওয়ার্দী ও চিশতিয়া তরিকার অনুসারী। এটা থানবী (রহ.)-এর সিলসিলা। তিনি হযরত থানবী (রহ.)-এর শিষ্য ছিলেন। তার নিকট থেকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভে ধন্য হন। সাহারানপুর মাজাহিরুল উলুম মাদ্রাসায় অধ্যায়নকালে প্রতি বৃহস্পতিবার তিনি সাহারানপুর থেকে স্বীয় শায়েখের খেদমতে থানাভবনে চলে যেতেন এবং স্বীয় শায়েখের মূল্যবান নসিহত শ্রবন করতেন। সেখানেই শবগুজারি করতেন আর শুক্রবার রাতেই আবার সাহারানপুর চলে যেতেন।

এভাবে দীর্ঘ চার বছর পর্যন্ত আধ্যাত্মিক সাধনা করতে থাকেন। এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ সক্ষম হন এবং স্বীয় শায়েখের দোয়া ও নেক নজর লাভে ধন্য হন। বড় মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পাওয়ার পর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রাক্তন মুহতামিম থানবী (রহ.)-এর বিশিষ্ট খলিফা আব্দুল ওয়াহহাব (রহ.)-এর সাথে ইসলাহী সম্পর্ক কায়েম করেন।

মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) তাকওয়া ও পরহেজগারিতে এত উচ্চাঙ্গের ছিলেন যে, তা দেখে মুগ্ধ হয়ে ১৯৬৭ সালে মাওলানা আব্দুল ওয়াহহার (রহ.) তাকেই খেলাফত প্রদান করেন। পরবর্তীতে থানবী (রহ.)-এর অপর খলিফা আমীরে শরীয়ত, মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর তাঁকে খেলাফত প্রদান করেন।

রাজনৈতিক জীবন:

১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ থেকে ইংরেজি বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে পাকিস্তান রাষ্ট্র কায়েম হয়েছিল, কতিপয় ক্ষমতা লোভী তাদের কারণেই তা ব্যাহত হচ্ছিল। তখন মাওলানা আতহার আলী (রহ.)-এর নেতৃত্বাধীন নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের ব্যানারে নেজামে ইসলাম পার্টি থেকে ফুলপুর-হালুয়াঘাটের এম.পি. নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।

এরপর ‘৭০ এর নির্বাচনে ২০/২২ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারেন নি। বাংলাদেশ হওয়ার পর ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমীরে শরীয়ত, মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের পক্ষে প্রচার অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ‘৯১ এ স্বাধীনতার পর সম্পূর্ণ বিনা দোষে প্রায় দুই বছর কারাবন্দী ছিলেন এবং দুই বছর পর জেল থেকে বেকসুর মুক্তি লাভ করেন।

আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ:

ক্ষণজন্মা এই মহা মনীষী চারপত্র, তিন কন্যা অনেক নাতি-নাতনি, ভক্ত-মুরিদ রেখে বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অবসান ঘটিয়ে ২৪ মে, ১৯৯৭ ইসায়ী শনিবার রাত ১.২৫ মিনিটে মহান প্রভু আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্যে চলে যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইন্তেকালের সময় তার বয়স ছিল ৯৮ বছর।

পর দিন বাদ আসর ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ, আলেম, ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের লক্ষাধিক মুসলমানি জানাজায় শরিক হন। বড় মসজিদের অদূরে কালীবাড়ি গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। মহান আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন এবং আমাদেরকেও তাঁর ফয়েজ ও বরকত নসীব করুন। আমীন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *