মেয়েদের ওজন কমানোর বেস্ট ডায়েট চার্ট

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট: বন্ধুরা দিন দিন আপনাদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে? অনেক চেষ্টা করেও ওজন কমছে না? আপনারা কি সঠিক ভাবে ওজন কমাতে চান? তাহলে আমাদের আজকের টিপস শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ে নিন। যেভাবে যা যা করতে বলা আছে স্টেপ বাই স্টেপ মেনে চলুন। একমাস মানলে ওজন তো কমবেই, সাথে সাথে দেখবেন নিজেরও ভালো লাগছে। অনেক বন্ধুরা ভাবেন খাওয়া কমিয়ে বা কম কম খেয়ে ওজন কমবে। কমবে ঠিকই কিন্তু তা শরীরের জন্য একদম ভালো না। খাওয়ার খান কিন্তু সঠিক মাত্রায় আর সঠিক সময়। আর তাই আজ হাজির হয়েছি মেয়েদের ওজন কমানোর বেস্ট ডায়েট চার্ট নিয়ে।

এজন্য আমরা আমাদের আজকের এই নিবন্ধে মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনাদের সুবিধার্থে lipipotro ডট com সবার আগে যে কোন স্বাস্থ্য টিপস ও ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। আপনারা ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট সম্পর্কিত সম্পূর্ণ তথ্য আমাদের এই নিবন্ধে আশা করি পেয়ে যাবেন। নিচে মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট তুলে ধরা হলো:

আরও পড়ুন: মধ্যবিত্ত পরিবার নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন ও কবিতা

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

পাঠক বন্ধুরা মেয়েদের ওজন কমানোর বেস্ট ডায়েট চার্ট জানার আগে আপনারা বিশেষ কিছু টিপস জেনে রাখুন। সঠিক ডায়েটের সাথে সাথে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • বন্ধুরা ভারতীয়, বিশেষ করে বাঙালি মহিলাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভাত বেশি করে দায়ি। তাই বলে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেবেন না। এক বাটি ভাত দুবেলা মিলিয়ে খান। বাকি শাক সবজি, তরকারি, মাছ, ডাল খান। ভাত খাওয়ার পরিমান কমান।
  • বসে বসে যাদের কাজ বা সময়ের অভাবে একদম হাঁটা হয় না তারা দিনে ৩০ মিনিট অন্তত হাঁটুন। আলাদা করে বেরনোর সময় না হলে ফোন এ কথা বলার সময় এক ঘর থেকে আরেকঘর হেঁটে হেঁটে কথা বলুন। দিনে ৩০ মিনিটের বেশি নিশ্চয়ই ফোন কল করা হয়। কাজে লাগান সেই সময়টাকে।
  • দেখা যায় মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা মেয়েদের বেশি। সংযত হন মিষ্টি খাওয়ার ব্যাপারে। মিষ্টি খাবার শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটা কন্ট্রোল করা খুবই দরকার। চায়ে গাদা গাদা চিনি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। দিনে ৩ থেকে ৪ বার চা খেলে একবার চিনি দিয়ে চা খান। বাকি সময় চিনি ছাড়া খান। এক সপ্তাহ করলেই অভ্যাস হয়ে যাবে।
  • প্রোটিন জাতীয় খাওয়ার নিজের মেনুতে যোগ করতে হবে। এই খাবার শরীর সুস্থ্য রাখার সাথে সাথে মোটা হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমায়। সবুজ শাক সবজি, মাছ, ডিম মুরগির মাংস খান। রেড মিট এড়িয়ে চলতে হবে।
  • একবারে অনেকটা খাবার খাবেন না বারে বারে অল্প অল্প করেও খেতে পারেন। তবে রাতে কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। রাতের বেলা হজম ঠিকঠাক ভাবে না হওয়ার দরুন ওজন বেড়ে যায় হুড়হুড় করে। তাই সকাল থেকে বিকেল অব্দি যত হেভি খাওয়ার খান রাতে খান হালকা খাবার।
  • ডায়েট করছেন মানে সঠিক মাত্রায় নিয়ম মেনে খাচ্ছেন। তাই না খেয়ে থাকবেন না একদম। ওজন কমাতে না খেয়ে থাকা কোন সুরাহা নয়। বরং শরীরকে কষ্ট দেওয়া। তাই খাবার খান।
বন্ধুরা ভাত ছাড়া যেহেতু বাঙালির চলে না, তাই দুপুরে ভাত খাবেন। তবে এক বাটির বেশি না। সাথে দুটো বা একটা রুটি খেতে পারেন। ডাল, সবজি, মাছ যা আপনাদের বাড়িতে যা রান্না হচ্ছে তা খান। তবে তেল মশলা কম দেওয়া খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। পেট ভরে খান কিন্তু ভাত গাদা গাদা না। ওই যে বললাম এক বাটি। বাকি পদ খান। খালি পেটে আপনাদেরকে ওজন কমাতে হবে না। দুপুরে খাওয়ার পর ভাত-ঘুম দেওয়ার যাদের অভ্যাস আছে তারা সেটা বন্ধ করবেন। খেয়ে উঠে বালিশ নিয়ে ঘুমানো চলবে না যদি ওজন কমাতে চান।
রাতের ডায়েটঃ
বন্ধুরা রাতে ভাত না খেলে খুবই ভালো হয়। তবে যদি ভাত ছাড়া একদমই না চলে তাহলে হাফ বাটি ভাত। এর চেয়ে বেশি নয়। সাথে একটা রুটি। ডাল এক বাটি আর তরকারি এক বাটি। রাতে মাছ, মাংস ও ডিম না খাওয়াই ভালো। রাতের খাওয়া রাত আটটা থেকে নটার মধ্যে করে ফেলতে হবে। খেয়ে উঠেই ঘুমাতে যাবেন না। রাতের ডিনার সারার পর একঘণ্টা পর ঘুমোতে জাবেন।

খিদে পেলে কি করবেনঃ

বন্ধুরা এসবের মাঝে যদি খিদে পায় তাহলে একটা ফল খান। ফল খেলে আপেল খাবেন। এতে মিষ্টি কম থাকে। কখনও ৬টা কাজুবাদাম, ৬টা কাঠবাদাম খেয়ে জল খান। দেখবেন পেট ভরে গিয়েছে। চাইলে ক্রিম ক্রেকার বিস্কুট সাথে রাখতে পারেন। আচমকা পাওয়া খিদে কমাতে দারুন কাজ করে।
বন্ধুরা উপরে বলা ডায়েট চার্ট সঠিক ভাবে মেনে চলুন। দেখবেন একমাসের মধ্যে অনেকটা হালকা বোধ করছেন। বাইরের খাওয়া, কোল্ড ড্রিংকস এসব থেকে দূরে থাকতে হবে এই ডায়েট মানার সাথে সাথে। একটা কথা মনে রাখবেন আপনারা নিজে না চাইলে পৃথিবীর কোন ডায়েট চার্ট আপনাদের ওজন কমাতে পারবে না। তাই যা যা বলা হল করবেন ভালো বই খারাপ ফল পাবেন না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *