বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে উক্তি: বৃদ্ধাশ্রম হচ্ছে মূলত বৃদ্ধ বয়সে নারী-পুরুষদের আবাসস্থল। একে ইংরেজিতে ওল্ড পিপল হোম কিংবা ওল্ড এস হোম বলা হয়। যদিও বৃদ্ধাশ্রমকে বৃদ্ধাদের আবাসস্থল বলা হয় কিন্তু এখানে মূলত বৃদ্ধ বয়সে তুলনায় বয়স্ক মানুষদের বেশি দেখা যায় কেননা বর্তমান সময়ে অনেকেই বৃদ্ধ বাবা-মা কিংবা বয়স্ক বাবা-মাকে বিভিন্ন কারণে বৃদ্ধাশ্রমে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। আবার অনেকেই শেষ বয়সে বাবা মাকে বোঝা মনে করে তারা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে থাকে তাই তো বর্তমান সময়ে বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে বয়স্ক নারী পুরুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধাশ্রমে প্রতিটি বয়স্ক নারী-পুরুষকে একটি রুম দেওয়া হয় এই প্রতিষ্ঠানটিতে মূলত বৃদ্ধ নারী পুরুষকে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেমন খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা সকল কিছু প্রদান করা হয়। এখানে বৃদ্ধ নারী পুরুষদের বিনোদন দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের চিত্র বিনোদন মাধ্যমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকেই বৃদ্ধাশ্রম সম্পর্কে তথ্যগুলো জানতে চান তাই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের প্রতিবেদনে বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে উক্তি ও স্ট্যাটাস সম্পর্কিত এই পোস্টটি। আপনারা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে উক্তি ও স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।
সকলের কাছে একটি পরিচিত শব্দ হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম যাকে মূলত বৃদ্ধ বয়সে প্রতিটি নারী পুরুষের আবাসস্থল বলা হয়। এখানে প্রতিটি বৃদ্ধ বয়সে নারী-পুরুষকে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেমন খাদ্য থেকে শুরু করে তাদের বাসস্থান চিকিৎসা চিত্র বিনোদন এবং পোশাক পরিচ্ছদের ব্যবস্থা করা হয়। বৃদ্ধ বয়সে যে সকল বৃদ্ধ নারী পুরুষ অসহায় কিংবা মানবতার জীবনযাপন করে থাকেন অথবা মৃত বয়সে যাদেরকে সন্তান ভরণ পোষণ কিংবা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করে থাকে সেসব নারী-পুরুষের স্থান মূলত এই বৃদ্ধাশ্রমে হয়ে থাকে। বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিটি নারী পুরুষকে একটি করে রুম কিংবা ঘর দেওয়া হয়। বৃদ্ধাশ্রমে থাকার স্থান সাধারণত অ্যাপার্টমেন্ট কিংবা ভাড়ার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। বর্তমান সময় চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে মূলত বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃদ্ধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো বাংলাদেশের মূলত বৃদ্ধ নারী পুরুষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী পুরুষের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ভরণপোষণ চিকিৎসা সকল কিছু মূলত সন্তান পালন করে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে সামাজিক রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিক পরিবারের কারণে এখন যৌথ পরিবার গুলো ভেঙ্গে একক পরিবারে পরিণত হয়েছে যার কারণে এখন বাংলাদেশের অধিকাংশ বৃদ্ধ নারী পুরুষ তাদের গুরুত্বপূর্ণ অধিকার বাসস্থান কিংবা আশ্রয় হারিয়ে ফেলছে যার কারণে এখন অধিকাংশ নারী পুরুষ এর স্থল হিসেবে বৃদ্ধাশ্রম হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আমি ভালো নেই উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে উক্তি
বৃদ্ধাশ্রম হচ্ছে মূলত বিদ্যা নারী পুরুষের একটি আবাসস্থল যেখানে বৃদ্ধ বয়সে নারী পুরুষরা সকল ধরনের সুযোগ সুবিধার মধ্যে সুন্দর একটি পরিবেশে বসবাস করতে পারে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের বৃদ্ধাশ্রম এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তো জ্ঞানী গুণীজন বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি বলে থাকেন। আজকে আমরা আপনাদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে সেই উক্তিগুলো তুলে ধরব। কেননা অনেকেই বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে উক্তি গুলো অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে সকল ধরনের উক্তি সংগ্রহ করেছি আপনারা এই উক্তিগুলোর আলোকে বৃদ্ধাশ্রম সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। নিচে বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে উক্তি গুলো তুলে ধরা হলো:
- বার্ধক্যের ট্র্যাজেডি এই নয় যে একজন বৃদ্ধ, তবে একজন তরুণ।
– অস্কার ওয়াইল্ড - পুরুষত্বের হতাশা তারুণ্যের বিভ্রান্তিতে সফল হয়: আসুন আমরা আশা করি যে বার্ধক্যের ঐতিহ্য হতাশা নয়।
– বেঞ্জামিন ডিসরায়েলি - আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে বয়স আপনি যদি সুস্থ থাকেন বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা।
– হিউ হেফনার - আমি বৃদ্ধ হতে চাই না, আমার মায়াকে বাঁচাতে চাই না। যত্ন এবং দুঃখ থেকে শুধুমাত্র একটি সংক্ষিপ্ত অবকাশ, ফুল, এবং সঙ্গীত, এবং প্রেম, এবং হাসি, এবং আনন্দিত অশ্রু একটি সংক্ষিপ্ত সময়।
– অ্যান রিভ অলড্রিচ - সম্পূর্ণ জীবন, নিখুঁত প্যাটার্ন, বার্ধক্য এবং সেইসাথে যৌবন এবং পরিপক্কতা অন্তর্ভুক্ত করে। সকালের সৌন্দর্য এবং দুপুরের দীপ্তি ভাল, তবে এটি খুব বোকা ব্যক্তি হবে যে সন্ধ্যার প্রশান্তি বন্ধ করার জন্য পর্দা আঁকে এবং আলো জ্বালিয়েছিল। বার্ধক্যের আনন্দ আছে, যা ভিন্ন হলেও যৌবনের আনন্দের চেয়ে কম নয়।
– ডব্লিউ সোমারসেট মঘাম - যদি আমি জানতাম যে আমি এতদিন বেঁচে থাকব, আমি নিজের যত্ন নিতাম।
– মিকি ম্যান্টল - পুরুষত্বের হতাশা তারুণ্যের বিভ্রান্তিতে সফল হয়: আসুন আমরা আশা করি যে বার্ধক্যের ঐতিহ্য হতাশা নয়।
– বেঞ্জামিন ডিসরায়েলি - বার্ধক্য সবকিছুর মতো। এটিকে সফল করতে, আপনাকে তরুণ শুরু করতে হবে।
– থিওডোর রোজভেল্ট - আমি অবশেষে সেই বয়সে পৌঁছেছি যেখানে আমার ওয়াইল্ড ওটস অল-ব্র্যানে পরিণত হয়েছে।
– টম উইলসন - মানুষ যেমন ফল খায় তেমনি তার পরিপক্কতার সময়কাল থাকে। সেই মতো, যদি সে কান্ডের সাথে দীর্ঘক্ষণ ঝুলে থাকে, তবে এটি একটি অকেজো এবং কুৎসিত উপাঙ্গ।
– থমাস জেফারসন - আমরা যত বড় হচ্ছি, আমাদের অবশ্যই প্রসারিত, প্রসারিত, শেখার, মনকে সক্রিয় এবং খোলা রাখার জন্য নিজেদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে হবে।
– ক্লিন্ট ইস্টউড
বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে স্ট্যাটাস
বর্তমান সময় বাংলাদেশের অধিকাংশ পরিবার অর্থনৈতিক সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে যৌথ পরিবার গুলো ভেঙ্গে এবং পরিবারের পরিণত হয়েছে যার কারণে পরিবারের ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ নারী পুরুষেরা অসহায় জীবন যাপন করছে কেননা এই পরিবারগুলো ভেঙে যাওয়ার কারণে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অধিকার আশ্রয় কিংবা বাসস্থান হারিয়ে ফেলছে। যার ফলে তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। তাইতো দেশে এখন বৃদ্ধাশ্রমের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এজন্যই আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনের আলোকে বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে পারবেন। নিচে বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো তুলে ধরা হলো:
জীবনকে সবার থেকে বেশি করে চায় বয়স্করা।
– সফোক্লেস
যুবককালে উপভোগ করো আর বার্ধক্যে সেই দিনগুলো স্মরণ করো।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বয়স্করা যুদ্ধের আহ্বান করে। কিন্তু তারুণদেরকে সেই যুদ্ধ করতে হয় এবং মরতে হয়।
– হারবার্ট হুভার
বৃদ্ধরা জীবনকে যত বেশি ভালােবাসে যুবকরা ততখানি বাসে না।
– ক্ৰডিক হাৰ্বাট”
একটি ভাল বার্ধক্যের রহস্য হলো নির্জনতার সাথে একটি সম্মানজনক চুক্তি।
– গ্যাবরিয়াল গারসিয়া মারকিউজ
বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে কবিতা
আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনের আলোকে বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে কবিতা গুলো সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে পারবেন। নিচে বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে কবিতা গুলো তুলে ধরা হলো:
বৃদ্ধাশ্রম
কবি মোহাম্মদ শফিউল্লাহ
তোমাকে করতে লালন-পালন,
নিজেদের সব কিছু দিয়েছি বিসর্জন।
প্রতিদান পেয়েছি বৃদ্ধাশ্রম।
এই ছিল শেষ বয়সের অর্জন।
ভিজে যাওয়া জায়গা নিজে শুয়ে,
তোমাকে রেখেছি শুকনায়।
আশঙ্কায় ছিলাম আহা বাচা আমার,
না জানি ঠান্ডা লেগে যায়।
ছোট বেলায় যখন চোখের,
একটু আড়াল হতে তুমি।
তখন তোমাকে পাগলের মত,
খুঁজে বেড়াতাম আমি।
নিজে না খেয়ে তোমার,
মুখে তুলে দিয়েছি অন্ন। অ
র্থাভাবে পরনের কাপড়গুলি,
ছিলো শত জায়গায় ছিন্নভিন্ন।
ছিঁড়ে যাওয়া কাপড়গুলি জোড়াতালি,
দিয়ে কোন রকমে সেলাই করি পরি।
ঋণ করে তোর জন্য নতুন জামা কিনি,
পড়ালেখার খরচ দেই জমি বিক্রি করি।
নিজে না খেয়ে উপবাস থেকে,
নিজহাতে খাইয়েছি তোমায়।
বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গিয়ে তুমি,
প্রতিদান দিয়েছো আমায়।
অসুখে বিসুখে তুমি যখন,
বিছানায় থাকতে শুয়ে।
নির্ঘুম রাত পোহাতাম আমরা,
তোমার শিয়রে বসে ।
কত কি,অশনি সংকেত।
মনের মাঝে জাগতো।
দুশ্চিন্তা ও ভয়ে বুকের মাঝে,
কেঁপে কেঁপে উঠতো।
শোনরে নিষ্ঠুর খোকা দুঃখের কথা বলি।
কত সুন্দর ছিল আমাদের সুখের দিনগুলি।
তোর আদৌ আদৌ মুখের বুলি মিষ্টি সোনা মুখ।
আমার কুঁড়েঘরে মায়া মমতায় এনেছিল স্বর্গসুখ।
আমাদের কি অপরাধ ছিল,
আমাদেরকে কেন রেখেছো নির্বাসনে।
আমাদের কি,হইলো না একটু জায়গা।
তোমার বিশাল অট্টালিকার কোণে।
অতীতের কথাগুলি হয়ে স্মৃতিগাঁথা।
কষ্ট হয়ে স্মৃতিপটে দেয় শুধু ব্যাথা।
অশ্রু জলে স্বপ্নগুলি দে শান্তনা।
যতই করি কান্নাকাটি সন্তান ফিরে আসবেনা।
আমায় রেখে গেছো নির্বাসনে ,
অজানা অচেনা পরিবেশে।
তুমি থাকো বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে,
খুব আরাম আয়েশে।
ওরে ও নিষ্ঠুর নির্দয় খোকা,
তোর কি হয় না দয়া মনে।
আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি,
কারো স্থান,না হয় যেন বৃদ্ধাশ্রমে।
পরিশেষে আল্লাহর কাছে করি এই মিনতি,
তোর জীবনে না হয় যেন এমন পরিণতি।।