ফজরের বাতাস নিয়ে উক্তি: পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ তাআলা। মানুষের জীবনকে সুখী এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা রহমত ও বরকত প্রদান করেছে। মহান আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত নেয়ামত ভোগ করে প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। কিন্তু অনেকেই মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত কিংবা মহান আল্লাহ তায়ালার জীবন বিধান অনুসারে নিজের জীবন পরিচালনা করেনা বরং দুনিয়াদারী নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যার মাধ্যমে তারা নিজের জীবন নিজেই ধ্বংস করছে। আল্লাহ তাআলা মানুষের শান্তির জন্য এবং মানুষের দুনিয়ার জীবনও পরকালের জীবনকে সুখময় করে তোলার জন্য উত্তম জীবন বিধানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। জীবন বিধানের মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহ তাআলার প্রদত্ত ইবাদত বন্দেগী থেকে শুরু করে সকল কিছু সম্পর্কে জানতে পারি। আল্লাহ তাআলা কেবলমাত্র হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রতিনিয়ত ফজরের মাধ্যমে শুরু হয়। যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ নিয়মিত আদায় করে থাকে তিনি ফজরের নামাজের গুরুত্ব এবং ফজরের স্নিগ্ধ শীতল বাতাসের পরশ পেয়ে থাকেন। দিনের অন্যান্য বেলার বাতাসের তুলনায় ফজরের বাতাস স্নিগ্ধ ও কোমল হয়ে থাকে। তাই আমরা আজকে ফজরের বাতাস নিয়ে উক্তি ফজরের বাতাস নিয়ে স্ট্যাটাস এবং ফজরের বাতাস নিয়ে ক্যাপশন শেয়ার করব।যা আপনাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে।
প্রতিটি মুমিন ও মুসলিমের কাছে নামাজ হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। মহান আল্লাহ তাআলার নামাজের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের জীবনের সকল চাওয়া পাওয়া এবং জীবনের ক্ষমা করে দেন। প্রতিনিয়ত প্রতিটি মুসলিম কে মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত করার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করতে হয়। মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম ও মুমিন ব্যক্তি দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে থাকেন। প্রতিদিন মূলত ফজর থেকে শুরু হয় এবং ঈশার মাধ্যমে সালাত শেষ হয়। আল্লাহতালা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়কারীদের জন্য রহমত বর্ষিত করেন সেই সাথে মহান আল্লাহ তালার সমস্ত নেয়ামত তাদেরকে দান করে থাকেন। মহান আল্লাহ তাআলার এই নেয়ামত গুলো প্রতিটি মুমিন ব্যক্তির সহজেই উপলব্ধি করতে পারি। যে ব্যক্তি প্রতিনিয়ত ফজরের সালাত আদায় করে থাকে তিনি ফজরের বাতাসে স্নিগ্ধ ও কোমলতা সহজে বুঝতে পারেন। কেননা ফজরের বাতাস অত্যন্ত শীতল হয়ে থাকে যা মুমিনদের অন্তরকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেয় কেননা ফজরের বাতাসে প্রতিটি মুনাফিক ও মসজিদে ঘুমিয়ে থাকে যার কারণে তাদের দুর্গন্ধ বাতাসের প্রবাহিত হয় না তাইতো ফজরের বাতাসা স্নিগ্ধ ও কোমলতা প্রতিটি মুমিনের অন্তরকে প্রশান্ত করে দেয়।
আরও পড়ুন: বর্ষাকাল নিয়ে উপস্থিত বক্তৃতা ও স্ট্যাটাস
ফজরের বাতাস নিয়ে উক্তি
প্রতিটি মুমিন ও মুসলিম ব্যক্তি মহান আল্লাহতালার ইবাদত করার জন্য প্রতিদিন ফজরের সালাত সময় মত আদায় করে থাকে। ফজরের সালাত আদায় করার মাধ্যমে তাদের জীবনী মহান আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত ও বরকত দ্বারা পূর্ণ করে দেন। শুধুমাত্র মুমিন ব্যক্তিরাই ফজরের সালাতের স্নিগ্ধ ও কোমলতা উপলব্ধি করতে পারে। তাইতো আপনাদের জন্য আজকের একটি প্রতিবেদন নিয়ে এসেছি যেখানে আমরা ফজরের বাতাস নিয়ে উক্তিগুলো তুলে ধরেছি। ফজরের বাতাস নিয়েই উক্তিগুলো আপনাদের সকলকে ফজরের সালাত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করবে। কেননা ফজরের বাতাস মানুষের অন্তরকে প্রশান্ত করে দেয় এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে ফজরের বাতাস নিয়ে উক্তিগুলো তুলে ধরা হলো,
- বাতাস আমাদের দেখায় আমরা কতটা প্রান্তের কাছাকাছি।
– জোয়ান ডিডিওন - বাতাস তার নিজের অবোধ্য ভাষায় গোপন কথা ফিসফিস করে।
– ট্রেসি রিস - আমি বাতাসের চিৎকার শুনতে পাই যা তার ভারী ডানাগুলিতে দীর্ঘ ভয়ঙ্কর ঝড় নিয়ে আসে।
– উইলিয়াম সি. ব্রায়ান্ট - বাতাস হল আমাদের এটি আমাদের সমস্ত কণ্ঠস্বর সংগ্রহ করে এবং মনে রাখে, তারপর তাদের পাতা এবং ক্ষেত্রগুলির মাধ্যমে কথা বলতে এবং বলার জন্য পাঠায়।
– ট্রুম্যান ক্যাপোট - আপনি শুয়ে নয় বরং বাতাসের বিরুদ্ধে হাঁটার চেষ্টা করে তার শক্তি খুঁজে পান।
– সি.এস. লুইসসকালের - বাতাস তার তাজা গন্ধ ছড়ায়। আমাদের অবশ্যই উঠতে হবে এবং সেই বাতাসটি নিতে হবে যা আমাদের বাঁচতে দেয়। চলে যাওয়ার আগে শ্বাস নিন।
– রুমি - হাওয়া যে কখনই সংযম জানত না, খুব বেশি বয়ে যেতে ভয় পায়, খুব ক্ষীণভাবে উড়ে যায়; বা আনন্দের সাথে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাইরে, তাদের সোজা হয়ে যাওয়া ফুসফুসকে বড় করতে পারেনি বা তাদের চার্জ সম্পর্কে সচেতন হতে পারেনি।
– জন ড্রাইডেন - আমি গাছের মধ্যে বাতাস শুনি আকাশের সিম্ফনি বাজানো; আমি নীচের দিকে বাঁকানো শাখা দেখি, কিছু দুর্দান্ত যন্ত্রের চাবির মতো।
– হেনরি ওয়েডসওয়ার্থ লংফেলো - আমাদের সকলের উপর বাতাস বয়ে যায়, কিন্তু আপনি কীভাবে আপনার পাল সেট করেন তা পার্থক্য করে।
– জিম রোহন
ফজরের বাতাস নিয়ে স্ট্যাটাস
দিনের শুরু অর্থাৎ ফজর এমন একটি মুহূর্ত যখন মহান আল্লাহ তা’আলা প্রতিটি মুসলিম নারী পুরুষ ও মুমিনদের প্রশান্ত করার জন্যে কোমল ও স্নিগ্ধ বাতাস দান করে থাকেন। ফজরের এই স্নিগ্ধ ও কোমল বাতাস প্রতিটি মুমিনের অন্তরকে প্রশান্তিতে ভরে দেয়। তাইতো কোন মুমিন কিংবা মুসলিমকে ফজরের বাতাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন ফজরের বাতাস নিতে হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে ফজরের বাতাসে কোন মুনাফিকদের জন্য থাকেনা যার কারণে এই বাতাস অত্যন্ত স্নিগ্ধ হয়ে থাকে। তাই আমরা আজকে ফজরের বাতাস নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনের আলোকে ফজরের বাতাস নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। সকলকে আমাদের এই স্ট্যাটাস গুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি যত্নশীল হতে সাহায্য করতে পারবেন। নিচে ফজরের বাতাস নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো তুলে ধরা হলো,
- এই ভোর- আহা স্নিগ্ধ মায়াবী উষশীর মৃদু হাওয়া, এই ভোরে পূর্ণতা পায় যত প্রার্থনা, যত চাওয়া।
- ভোরবেলাতে ফজরের নামাজের পরে সকালের আলো বাতাস যে কতটা শরীরের জন্য ভালো, তা শুধু মাত্র ভোরবেলার ফজরের নামাজি ব্যক্তিরাই ভালো বলতে পারবে।
- ভোরবেলায় ফজরের নামাজের মাধ্যমে সকল শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়।
- সকালে এক ঘন্টা নষ্ট করলে, দেখবেন আপনি এটি খুঁজতে বা কাটিয়ে উঠতে সারা দিন নষ্ট হয়ে যাবে।
- আজ আপনার খারাপ সময় যাচ্ছে বলে চিন্তা করবেন না। কারণ প্রতিটি অন্ধকার রাতের পর ভোর হয়।
ফজরের বাতাস নিয়ে ক্যাপশন
অনেক মুসলিম ও মমিন নারী-পুরুষ ফজরের বাতাস নিয়ে ক্যাপশনগুলো খুজে থাকেন। তাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি একটি প্রতিবেদন যেখানে ফজরের বাতাস নিয়ে ক্যাপশন তুলে ধরেছে। আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনের আলোকে ফজরের বাতাস নিয়ে ক্যাপশন গুলো জানতে পারবেন। শরীর সুস্থ রাখার জন্য ফজরের বাতাসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আপনারা আমাদের এই ক্যাপশন গুলোর মাধ্যমে সহজেই বুঝতে পারবেন। তাই আপনারা যারা প্রতিনিয়ত ফজরের বাতাসা স্নিগ্ধ ও কোমলতা উপলব্ধি করতে চান তারা আমাদেরকে ক্যাপশন গুলো সংগ্রহ করে গুরুত্ব বুঝতে পারবেন। নিচে ফজরের বাতাস নিয়ে ক্যাপশন গুলো তুলে ধরা হলো,
- বাতাসের মতো দ্রুত। জঙ্গলের মতো শান্ত। আগুনের মত জয়। পাহাড়ের মতো স্থির।
- যখন সবকিছু আপনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে বলে মনে হয়, মনে রাখবেন যে বিমানটি বাতাসের বিপরীতে টেক অফ করে, এর সাথে নয়।
- আমি বাতাসের দিক পরিবর্তন করতে পারি না, তবে আমি সর্বদা আমার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য আমার পাল সামঞ্জস্য করতে পারি।
- তিনি একটি বাতাসের দিন পছন্দ করতেন, এটি তাকে অনুভব করেছিল যে সে উড়ছে।