টিএসপি সারের দাম: বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে ফলন বৃদ্ধি করার জন্য কৃত্রিম বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে যেমন কীটনাশক এর ব্যবহার রাসায়নিক ঔষধপত্র ব্যবহার এমনকি উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করার মাধ্যমে জমির ফসল বৃদ্ধি করন ও উর্বরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কৃষি ক্ষেত্রে এখন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্বোধন করা হচ্ছে যার কারণে কৃষকেরা এখন অনেক লাভবান হতে পারছে। এমন কি দেশের বিভিন্ন ধরনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কৃষি ক্ষেত্রে ফসলের ফলন বেশি করার বিভিন্ন ধরনের টিপস শেখানো হচ্ছে। কারিগরি বিদ্যালয়গুলোতে হাতে কলমে ফসল চাষ পদ্ধতি থেকে শুরু করে ফসলে কীটনাশকের ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক জানানো হচ্ছে। তাই তো এখন অধিকাংশ শিক্ষিত যুবক কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে নিজেকে সচ্ছল করে তুলছেন। ফসল বৃদ্ধি করার জন্য তারা জমিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে কীটনাশক সার ব্যবহার করে থাকে। তাই আমরা আজকে সকল পাঠকের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক সার যেমন টিএসপি ইউরিয়া ও জি এস পি সার এর দাম সম্পর্কে আলোচনা করব।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ যার কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষি পেশার মাধ্যমে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে ফসল বাজারজাত করে তাদের অর্থনৈতিক চাহিদাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করে থাকেন আবার অনেকেই অন্যের জমিতে ফসল ফলিয়ে প্রতিনিয়ত কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বর্তমান সময় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার মাধ্যমে এখন কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি চালিত মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে যার কারণে ফসল উৎপাদন করার জন্য জমি কিংবা মাটিকে প্রস্তুত করা সহজ হচ্ছে। এমনকি প্রাচীন যুগের কৃষকদের তুলনায় বর্তমান যুগের প্রতিটি কৃষক কৃষি ক্ষেত্রে উপযুক্ত জ্ঞান অর্জন করছে যার কারণে তারা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে আবিষ্কৃত সকল উন্নত জাতের ফলন শীল ফসল চাষ করে সহজেই উপকৃত হচ্ছে এবং একটি জমিতে কয়েক ধরনের ফসল চাষ করছেন। জমির ফসল তাড়াতাড়ি ঘরে তোলার জন্য এবং ফসলের মাত্রায় বৃদ্ধি করার জন্য তারা জৈব সার এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক সার রাসায়নিক ওষুধ পত্র চুন ইত্যাদি জমিতে ব্যবহার করে তাদের উন্নত ফসল চাষ করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: Samsung ওয়াশিং মেশিনের দাম ২০২৩
টিএসপি সারের দাম
জমিতে ফসল ফলানোর জন্য রাসায়নিক যে সমস্ত সার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে টিএসপি সার। যার পুরো নাম হচ্ছে ট্রিপল সুপার ফসফেট সার। যা কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ের কিছুক্ষণ কৃষি ক্ষেত্রে উপযুক্ত জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে এখন তাদের ফসল ফলানোর জন্য প্রতিটি কীটনাশক সার সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করতে পারছে। তাইতো তারা জমিকে ফসলের জন্য উপযোগী করে তোলার জন্য ও ফসল বৃদ্ধি করার জন্য কীটনাশক সার হিসেবে টিএসপি সার প্রয়োগ করে থাকে। এজন্য আমরা আজকে টিএসসি সারের দাম সম্পর্কে আপনাদের মাঝে একটি নিবন্ধ তুলে ধরেছি যেখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে টিএসপি সারের দাম তুলে ধরা হয়েছে।
- প্রতি কেজি ২২ টাকা
- প্রতি বস্তায় ১১০০ টাকা
- কৃষকদের কাছে প্রতি বস্তায় বিক্রি হয় ১২০০-১৩৫০ টাকা
ইউরিয়া সারের দাম
জমিতে সাধারণত ফসল বৃদ্ধি করার জন্য ও ফসলের গুণগত মান ঠিক করার জন্য ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়। কৃষি ক্ষেত্রে যেমন এখন উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করা হয়েছে ফসলের চাষ বৃদ্ধি করার জন্য কীটনাশক এই সারগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে যার কারণে এখন কৃষকগণ তাদের জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানোর মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারছেন। তাই আমরা আজকে সকলের জন্য নিয়ে এসেছি আমাদের এই আলোচনায় ইউরিয়া সারের দাম সম্পর্কে তথ্যগুলো। আপনারা আমাদের আলোচনার মাধ্যমে ইউরিয়া সারের দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আপনার ফসল ফলানোর জন্য নির্দিষ্ট সঠিক দামে ক্রয় করতে পারবেন। নিচে ইউরিয়া সারের দাম তুলে ধরা হলো:
- প্রতি কেজি ২২ টাকা
- প্রতি বস্তায় ৮০০ টাকা
- কৃষকদের কাছে প্রতি বস্তায় বিক্রি হয় ১২০০-১৩০০ টাকা
জিএসপি সারের দাম
এখন আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে জিএসপি সারের দাম সম্পর্কে আলোচনা করব। কেননা অনেকেই কৃষিক্ষেত্রে উন্নত ফসল ফলানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক সারের মধ্যে জিএসপি সার ব্যবহার করে থাকেন। তাইতো তারা জিএসপি সারের দাম সম্পর্কে তথ্যগুলো জানতে চান এজন্যই আমরা আজকে জিএসপি সারের দাম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনারা যারা জিএসপি সারের সঠিক মূল্য সম্পর্কে তথ্যগুলো খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রতিবেদনটি দেখে নিন তাহলেই জিএসপি সারের দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- প্রতি কেজি 27 টাকা
- প্রতি বস্তায় ১৩৫০
- কৃষকদের কাছেপ্রতি বস্তায় বিক্রি হয় ১৮০০-১৫০০ টাকা
পটাশ সারের দাম
বাজারে প্রতি কেজি প্রায় ৪৫ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে। ৫০০ গ্রাম পটাশ সারের মূল্য ২৫ টাকা ধরা হয়। আবার এক কেজি পটাশ সার কোন কোন দোকানে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । ৫০ কেজির এক বস্তা পটাশের সরকার নির্ধারিত দাম ৭০০ টাকা হলেও অনেকেই বিক্রি করছেন ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা।যেখানে কৃষকের কাছে অনেক বেশি মূল্যে সার বিক্রি করা হচ্ছে।
- ১ কেজি পটাশ সারের দাম ৪৫ টাকা।
- ৫০০ গ্রাম পাকা সোনার দাম ২৫ টাকা
- ৫০ কেজির বস্তা রায় ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা।
এম, ও, পি সারের দাম
ইউরিয়া, টিএসপি, জিএপি, পটাশ সারের মতোও এই এমওপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদের প্রয়োজনে কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এম,ও,পি প্রতি বস্তা সরকার নির্ধারিত মূল্য ৭৫০ টাকা কিন্তু বাজারে কৃষকদের কাছে প্রায় হাজারের টাকার উপরে বিক্রি করা হচ্ছে। যথা প্রতি কেজি এম,ও,পি সারের মূল্য ধরা হচ্ছে ১৫ টাকা। কিন্তু খুচরা বাজারে কৃষকদের কাছ থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টাকার বেশি রাখা হচ্ছে। যা কৃষকদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল।
- প্রতি কেজি ১৫ টাকা
- প্রতি বস্তায় ৭৫০ টাকা
- কৃষকদের কাছে প্রতি বস্তায় বিক্রি হয় ১১০০-১২০০ টাকা