কোন কোন বিষয়ে মাস্টার্স করা যায়: শিক্ষা প্রতিটি মানুষের জীবনের একটি মুখ্য উদ্দেশ্য। কেননা পৃথিবীতে মানুষকে পরিপূর্ণভাবে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে তৈরি করার ক্ষেত্রে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষামূল্য তো মানুষকে আদর্শ করে তোলে সেই সাথে এই সুন্দর পৃথিবীকে উপভোগ করার উত্তম জ্ঞান ও বিবেক দান করে থাকে। তাইতো প্রতিটি মানুষের জীবনে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং গুরুত্ব রয়েছে। এজন্যই মানুষ সাধারণত পারিবারিক শিক্ষা কিংবা ধর্মীয় শিক্ষা অথবা সামাজিক শিক্ষা ছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগুলো গ্রহণ করে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগুলো সাধারণত মানুষকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ও পাঠ্যপুস্তক এর শিক্ষা প্রদান করতে সাহায্য করে। এই শিক্ষা সাধারণত প্রাথমিক থেকে উচ্চতার শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে। তাইতো একজন মানুষ প্রাথমিক মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে সকল ধরনের শিক্ষা সম্পন্ন করে থাকেন এবং নিজেকে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। এজন্য আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করব। আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে আমরা কোন কোন বিষয়ে মাস্টার্স করা যায় এবং ডিগ্রি করে মাস্টার্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো।
বাংলাদেশের একজন মানুষকে উচ্চশিক্ষিত হতে হলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা পর্যায় অতিক্রম করতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনুযায়ী মূলত প্রতিটি মানুষকে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করার পরেই সম্মান কিংবা ডিগ্রী ক্লাসে শিক্ষাগুলো গ্রহণ করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর একজন মানুষ দুই ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে একটি হচ্ছে সম্মান অপরটি স্নাতক। প্রতিটি মানুষ তাদের নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে সম্মান কিংবা স্নাতক শিক্ষা ব্যবস্থায় ভর্তি হয়ে থাকে। স্নাতক ও সম্মান শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝে পার্থক্য রয়েছে। একজন মানুষকে স্নাতক করতে সাধারণত তিন বছর সময় অতিক্রম করতে হয় অপরদিকে সম্মান ক্লাসে চার বছর সময় ব্যয় করতে হয়। স্নাতক সম্পন্ন করার পর নির্দিষ্ট নিয়মে একজন শিক্ষার্থী মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করতে পারে। অপরদিকে সম্মান ক্লাস সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে সরাসরি প্রতিটি শিক্ষার্থী মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করে নিজেকে উচ্চশিক্ষিত করে তুলতে পারে। বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিটি শিক্ষার মান সম্মান করা হয়েছে। তাইতো প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের অর্থনৈতিক যোগ্যতা স্বচ্ছলতা কিংবা উপর ভিত্তি করে সম্মান কিংবা স্নাতক শিক্ষা ব্যবস্থার কোর্স সম্পূর্ণ করে নিজেকে উচ্চশিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম, জেনে নিন কার নামে সিম আছে
কোন কোন বিষয়ে মাস্টার্স করা যায়
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণত প্রাথমিক শিক্ষা থেকে মাস্টার্স শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যন্ত একজন মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। প্রাথমিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ। তাইতো বাংলাদেশের একজন মানুষকে শিক্ষিত করতে হলে অবশ্যই প্রাথমিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষা অতিক্রম করে শিক্ষিত হতে হবে। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক কিংবা সম্মান স্নাতক শিক্ষা পর্যায়ে অতিক্রম করার পর একজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে মাস্টার্স করার সুযোগ পেয়ে থাকে। প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজেদের পছন্দের বিষয়টি নির্ধারণ করে মাস্টার্স শিক্ষা কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ পায়। তাইতো অনেকেই মাস্টার্স শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে আমাদের আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেন। তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা কোন কোন বিষয়ে মাস্টার্স করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্যগুলো শেয়ার করব যেগুলো আপনাদেরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (Islamic History & Culture)
- থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মেন্স স্টাডিস (Theatre and Performance Studies)
- বাংলা (Bangla)
- ইংরেজি (English)
- আরবি (Arabic)
- ফারসি ভাষা ও সাহিত্য (Persian Language and Literature)
- উর্দু (Urdu)
- সংস্কৃতি (Sanskrit)
- পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিস (Pali and Buddhist Studies)
- ইতিহাস (History)
- দর্শন (Philosophy
- যোগাযোগ বৈকল্য (Communication Disorders)
- অর্থনীতি (Economics)
- ইসলামিক স্টাডিস (Islamic Studies)
- তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা Information Science and Library Management
- ভাষাবিজ্ঞান (Linguistics)
- মিউজিক (Music)
- বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি (World Religions and Culture)
- ডান্স (Dance)
- আইন (Law)
- গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা (Mass Communication & Journalism)
- সমাজবিজ্ঞান (Sociology)
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Political Science)
- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (International Relations)
- লোক প্রশাসন (Public Administration)
- নৃবিজ্ঞান (Anthropology)
- পপুলেশন সাইন্স (Population Sciences)
- শান্তি এবং সংঘর্ষ অধ্যয়ন (Peace and Conflict Studies)
- উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিস (Women and Gender Studies)
- উন্নয়ন অধ্যয়ন (Development Studies)
- টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি (Television, Film and Photography)
- অপরাধবিজ্ঞান (Criminology)
- প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন স্টাডিস (Printing and Publication) Studies
- জাপানিজ স্টাডিস (Japanese Studies)
- হিস্টরি অফ আর্ট (History of Art)
- ক্র্যাফ্ট (Craft)
- সিরামিক (Ceramic)
- ভাস্কর্য (Sculpture)
- অরিয়েন্টাল আর্ট (Oriental Art)
- ড্রয়িং এন্ড পেইন্টিং (Drawing and Painting)
- গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphic Design)
- প্রিন্ট মেকিং (Printmaking)
বিজ্ঞান বিভাগের কয়েকটি অনুষদে যেসব বিষয়ে মাস্টার্স করা যায় তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- Department of Pharmacy
- Department of Pharmaceutical Technology
- Department of Pharmaceutical Chemistry
- Department of Clinical Pharmacy and Pharmacology
- Department of Physics
- Department of Statistics
- Department of Mathematics
- Department of Chemistry
- Department of Theoretical and Computational Chemistry
- Department of Applied Mathematics
- Department of Theoretical Physics
- Department of Biomedical Physics & Technology
- Department of Psychology
- Department of Biochemistry and Molecular Biology
- Department of Zoology
- Department of Botany
- Department of Soil, Water & Environment
- Department of Clinical Psychology
- Department of Fisheries
- Department of Psychology
- Department of Microbiology
- Department of Educational and Counselling Psychology
- Department of Genetic Engineering and Biotechnology
- Department of Clinical Psychology
- Department of Clinical Pharmacy and Pharmacology
- Department of Pharmaceutical Chemistry
- Department of Pharmacy
- Department of Meteorology
- Department of Oceanography
- Department of Geology
- Department of Geography & Environment
- Department of Disaster Science and Climate Resilience
- Department of Nuclear Engineering
- Department of Applied Chemistry & Chemical Engineering
- Department of Robotics and Mechatronics Engineering
- Department of Electrical and Electronic Engineering
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের যেসব বিষয়ে মাস্টার্স করা যায় তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- অর্গানাইজেশন স্ট্রাটেজি এন্ড লিডারশিপ (Organization Strategy and Leadership)
- ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট (Tourism and Hospitality Management)
- ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (Management Information Systems)
- ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস (International Business)
- ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুরেন্স (Banking and Insurance)
- ফিন্যান্স (Finance)
- মার্কেটিং (Marketing)
- ম্যানেজমেন্ট (Management)
- একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (Accounting & Information Systems)
- হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (Human Resource Management)
- বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (Business Administration)
ডিগ্রী করে মাস্টার্স করার নিয়ম
অনেকে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আবার অনেকেই ইচ্ছে করেই অনার্স করার পরিবর্তে ডিগ্রী কোর্স সম্পন্ন করে থাকে। অনার্স সম্পূর্ণ করার পর সরাসরি যখন একজন শিক্ষার্থী মাস্টার্স কোর্স সম্পূর্ণ করার সুযোগ পেয়ে থাকে অপরদিকে ডিগ্রী কোর্স সম্পন্ন করার পর বেশ কিছু নিয়ম মেনে তাদেরকে মাস্টার্স করার সুযোগ দেওয়া হয়। তাইতো অনেক সময় ডিগ্রী করে মাস্টার্স করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটিতে আমরা ডিগ্রি করে মাস্টার্স করার নিয়ম গুলো তুলে ধরেছি। আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনের আলোকে যারা ডিগ্রি থেকে মাস্টার্স করতে চান তারা নিয়ম অনুযায়ী সর্বশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা মাস্টার্স শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারবেন। নিচে ডিগ্রী করে মাস্টার্স করার নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো:
- ডিগ্রীর পর আপনাকে ২ বছর মাস্টার্স করতে হবে, যার প্রথমটি হলো মাস্টার্স প্রিলি বা প্রথম পর্ব, আর পরে মাস্টার্স ফাইনাল। অর্থাৎ স্নাতক(পাস) – ৩ বছর + মাস্টার্স প্রিলি – ১ বছর + মাস্টার্স ফাইনাল ১ বছর = ০৫ বছর। [ এ বছর যারা ভর্তি হবেন তাদের এ সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে না]
- ডিগ্রীতে যেহেতু কোন সাবজেক্ট মেজর থাকে না তো কীভাবে মাস্টার্স পড়বো?
- ডিগ্রীতে ভর্তির সময় আপনি নিজের পছন্দমত ৩ টি সাবজেক্ট গ্রহন করবেন। এর থেকে নিজের পছন্দমত ১ টি বিষয় নিয়ে মাস্টার্স প্রিলিতে ভর্তি হতে হবে। প্রিলি সম্পূর্ণ হলে ঐ একই বিষয়ে মাস্টার্স ফাইনাল পড়বেন।
- যেমন : BBS (pass) এর একজন সাবজেক্ট নিলো : একাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিক্ম।
- এখান হতে সে কোন একটি নিয়ে প্রিলি পড়বে, যেমন একাউন্টিং নিয়ে, তখন তা হবে MBS, পরে তাকে আবার একাউন্টিং নিয়েই মাস্টার্স ফাইনালে ভর্তি হতে হবে, তখন তা হবে MBA.
- ডিগ্রীতে সেশনজট রয়েছে! আর মাস্টার্সে ২ বার ভর্তি! সব মিলিয়ে ৫ বছরের বেশী লেগে যাবে ।